সিটিজেন জার্নালিস্ট (জিমি):
খুলনা ‘জেলা আইনশৃঙ্খলা’ এবং ‘সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ’ কমিটির মাসিক সভা গতকাল সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আমিন উল আহসান এতে সভাপতিত্ব করেন। উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,খুলনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব নিজামূল হক মোল্লা।আরো উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব শাহ আবদুল সাদী।

উক্ত সভায় বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।তার মধ্যে অবৈধ হকার উচ্ছেদ, পলিথিনের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ, লাইসেন্সবিহীন যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও মাদক নির্মূলে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, পাইকগাছাতে ভূমিদখল ও গাছকাটা চক্রের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান তার উপজেলাতে মাদকের ভয়াবহ বিস্তারের উলে­খ করে বলেন, এর কারণে এলাকার পারিবারিক অশান্তিসহ দুষ্কৃতিকারীদের দৌরাত্ম দিন দিন বাড়ছে। মাদক বিষয়ক আলোচনায় গণসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এলাকার মাদকসেবীদের বিষয়ে তথ্য দেয়ার জন্য সভায় আহŸান জানানো হয়। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কার্যক্রম ও নজরদারী বাড়ানো এবং যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। পরিবেশ দুষণের অন্যতম কারণ পলিথিনে বাজার ছেঁয়ে গেছে তা নির্মূলের জন্য মোবাইল কোট চালানো হবে বলে সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন। স্কুল শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রম যথাসময়ে শেষ করা যাচ্ছে না এবং মানসম্মত পাঠদানে অবহেলা লক্ষ্য করা যাচ্ছে উলে­খ করে জনৈক সদস্য সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষন করেন। শিক্ষার্থীদের গৃহশিক্ষকের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে স্কুলগুলোতে তদারকী বাড়ানোর ওপর সভায় জোর দেয়া হয়। জানুয়ারি মাসে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর আওতায় চারটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আট জনের বিরুদ্ধে ৬৮ হাজার চারশ টাকা জরিমান করা হয়। মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর আওতায় ছয়টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩০ জনের বিরুদ্ধে ১৫ হাজার সাতশ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন-১৯৫০ মোতাবেক চারটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১১ জনের বিরুদ্ধে ২৬ হাজার ছয়শ টাকা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে চারটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে ১৯ হাজার টাকা এবং ওজন ও পরিমাপ অধ্যাদেশ মোতাবেক একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এক জনের বিরুদ্ধে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা চেয়ারম্যান, কেএমপি, র‌্যাব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় আইনশৃঙ্খলা প্রতিবেদনে জানানো হয়, খুলনা মহানগরীর আটটি থানায় গত জানুয়ারি-১৮ মাসে চুরি ৯টি, খুন ১টি, অস্ত্র আইনে ৩টি, দ্রুত বিচারে ১টি, ধর্ষণ ১টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ৫টি, মাদকদ্রব্য ১১৫টি এবং অন্যান্য ২৬টি সহ মোট ১৬১টি মামলা দায়ের হয়েছে। গত ডিসেম্বর-১৭ মাসে এ সংখ্যা ছিল ২২৯টি। জেলার নয়টি থানায় জানুয়ারি-১৮ মাসে চুরি ২টি, অস্ত্র আইনে ৪টি, ধর্ষণ ৪টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ৯টি, নারী ও শিশু পাচার ১টি ও মাদকদ্রব্য ৫৩টি এবং অন্যান্য আইনে ৬৯টি সহ মোট ১৪২টি মামলা দায়ের হয়েছে। গত ডিসেম্বর-১৭ মাসে এ সংখ্যা ছিল ১৩৯টি।
তথ্যঃ দৃষ্টিপাত নেট।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন