♠♠♠♠
সুন্দরবনের দস্যু আল আমিন বাহিনীর জিম্মিদশা থেকে উদ্ধারকৃত ২৩ জেলেকে তাদের পরিবারের সদস্যদের নিকট সোপর্দ করা হয়েছে। র্যাব-৬ এর নিজস্ব তত্বাবধানে তাদেরকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কয়রা ও দাকোপ উপজেলায় জেলেরা তাদের বাড়িতে যায়। এর আগের দিন বুধবার দুপুরে সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের কয়রা থানার শিবসা নদীর মারকির বাওনের খাল থেকে তাদের উদ্ধার করে র্যাব-৬।
এসময় র্যাব’এর সাথে বন্দুকযুদ্ধে এক দস্যু নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে ২৩ জন জেলে, ৭ টি নৌকা এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব। এসব বিষয় নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার র্যাব-৬ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।
ব্রিফিংয়ে সিপিসি-১ লে. কমান্ডার এ এম এম জাহিদুল কবীর বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আল আমিন বাহিনীর অবস্থান জানতে পেরে র্যাব সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে। এসময় শিবসা নদীর মারকির বাওনের খাল এলাকায় দস্যু বাহিনী অবস্থান করছিল। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দস্যুরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। র্যাব পাল্টা গুলি ছোড়া শুরু করলে দস্যু বাহিনী স্থান বদলাতে শুরু করে। এক সময় তারা সুন্দরবনের গহীনে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সেখান থেকে অজ্ঞাতনামা একজন দস্যুর লাশ উদ্ধার করে। গোলাগুলির সময় নিহত হতে পারেন বলে তিনি জানান। এঘটনায় র্যাবের ২ জন সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া ২৩ জন জিম্মি জেলে, একটি ১ নলা বন্দুক, রিভলবর ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত জেলে কয়রা উপজেলার সাহেব আলী জানান, গত ১৮ দিন তিনি আল আমিন বাহিনীর হাতে বন্দি ছিলেন। এসময় তাকে চরম নির্যাতন করা হয়। র্যাব তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। মুক্তিপণ বাবদ তিনি ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন আল আমিন বাহিনীকে।