তাবলিগ জামাতের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ থাকলেও আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমায় এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। দুই পক্ষই ইজতেমার ব্যাপারে আন্তরিক এবং ইজতেমা সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার বিকালে গাজীপুরের টঙ্গীতে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইজতেমা নিয়ে আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। যতই মতপার্থক্য হোক ইজতেমা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে হবে। মতপার্থক্য থাকলেও এখানে ইজতেমা হতে হবে এই বিষয়ে তারা সবাই একমত। তারা অভিমত প্রকাশ করেছে, যেভাবে ইজতেমার কাজ চলছে তাতে সুন্দরভাবে ইজতেমা শেষ হবে। এই ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের যাতে কোনো কষ্ট না হয় এর জন্য সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
বিদেশিদের ভিসা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘ভিসার একটি নিয়ম-নীতি রয়েছে। নিয়মনীতির ভেতর থেকে যতটুকু পারা যায় সহযোগিতা করা হবে। বিদেশি মেহমানদের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে যাচাই-বাছাই করে সব বিদেশি মেহমানদেরকে ভিসা দেয়া হবে।’
নিরাপত্তা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যা ব, বিজিবি সবাই এখানে অক্লান্ত পরিশ্রম করবে। সিটি করপোরেশন ইজতেমার শেষ দিন পর্যন্ত সহযোগিতা করবে। আমি মনে করি, এখানে আর কোনো অসুবিধা হবে না। ১০ তারিখে লাখ লাখ মুসুল্লির ঢল নামবে। সেজন্য হাইওয়ে, রেলওয়ে প্রস্তুত রয়েছে।’
সভায় গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল, পুলিশের আইজি জাবেদ পাটোয়ারী,
র্যা বের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন,ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়াও সভায় তাবলিগের দুই পক্ষের পাঁচজন করে দশজন শীর্ষ মুরুব্বি অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে দুজন বক্তব্য দেন।