র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘‘আমরা যদি গুণীজনদের খুঁজে বের করি, তাদের সম্মান দেখাই, তাহলে জাতিকেই সম্মান দেখানো হয়। গুণীজনদের সম্মান দিলে, তারা কাজের স্বীকৃতি পেলে আরো ভালো কাজ করে এবং অন্যরা উৎসাহিত হয়।’’

রোববার বিকেলে গোপালগঞ্জের শিল্পকলা একাডেমির হল রুমে আয়োজিত শিল্পকলা সম্মাননা পদক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘‘এ দেশে চিন্তাবিদ, সাধক, দার্শনিকের জন্ম হয়েছে। গায়ক, কবি হয়েছে। লোক সাহিত্যের জায়গা তৈরি হয়েছে। কারণ সুযোগ ছিলো। নিজের ছোট বেলা দিয়ে ছেলে-মেয়ের ছোট বেলা বিচার করতে গেলে ভুল হবে। কারণ তারা সময়ের সন্তান। নিজের সময় দিয়ে সন্তানদের সময় বিচার করা ঠিক হবে না।’’

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল বাকীর সভাপতিত্বে গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী এমদাদুল হক, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার এহিয়া খালেদ সাদি, জেলা কালচারাল অফিসার আল মামুন বিন সালেহ ও সম্মাননাপ্রাপ্ত সৃজনশীল সংগঠক মো. নাজুমল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

পরে ২০১৮ ও ২০১৯ বর্ষের ১০ জন গুণী শিল্পীর হাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা পদক, সনদপত্র তুলে দেন ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন অতিথিরা। ২০১৮ সালের ৫ জন গুণী সাংস্কৃতিক ব্যক্তি হলেন- গাজী মুস্তাফিজুর রহমান দিপু, দুলাল দাস, রবীন্দ্রনাথ অধিকারী, মাহবুবুর রহমান ও সৃজনশীল আঞ্চলিক সংগঠন ত্রিবেণী গণসাংস্কৃতিক সংস্থা।

২০১৯ সালের ৫ জন গুণী সাংস্কৃতিক ব্যক্তি হলেন- নাজুমল ইসলাম, শাহনাজ রেজা এ্যানী, গাজী লতিফ, ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী ও মাসুম হাসান।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন