Citizen Journalist(জিমি):যশোর জেলার বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আওয়াল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘আশ্রয়ণ-২’ প্রকল্পের অধীন ‘যার জমি আছে ঘর নাই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ শীর্ষক উপ-প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নে নির্মিত ঘরের চাবি গৃহহীনদের মাঝে হস্তান্তর করেছেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২.১৫ মিনিটে এ উপলক্ষ্যে ফুলসারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর মন্ডলপাড়ায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, সকলে প্রাপ্ত ঘর ও টয়লেট সুন্দর রাখবেন। এখন থেকে গৃহহীন বলে কেউ আর কথা বলবেনা। এই ঘরের মালিক এখন আপনারা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ঘর দিলেন, সেই ঘরে পরিবার নিয়ে আপনারা বসবাস করবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইবাদত হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদি মাসুদ চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের ম্যানেজার বিশ্বজিৎ কুমার, ফুলসারা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সোবহানুল আলম বাবু, ইউপি সদস্য আবুল কাশেম প্রমূখ।
আলোচনা শেষে জেলা প্রশাসক গৃহহীন তাহাজ শেখ (৬৫) ও হাশেম আলীর (৬৩) হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন।
প্রাসংঙ্গত উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ৫’শ ৫১ গৃহহীন পরিবারের জনগনকে ঘর বানিয়ে দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সকল ঘরসহ টয়লেট নির্মানের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড), উপজেলা প্রকৌশলী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানগণ। সূত্র জানায়, সরকারি ঘোষনার পরপরই গৃহহীনদের নিকট থেকে ইউপি চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় আবেদন আহবান করা হয়। এই আবেদন যাচাই বাছাই শেষে গৃহহীনদের নামের তালিকা পাঠানো হয় আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের কর্তৃপক্ষের নিকট। পরবর্তীতে গৃহনির্মানের জন্য ৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়।