★★★
সিটিজেন জার্নালিস্ট(জিমি):
“জঙ্গি মাদকের প্রতিকার বাংলাদেশ পুলিশের অঙ্গীকার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের আয়োজনে শুরু হয়েছে স্কুল ও কলেজের সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও ক্লাস রুটিন বিতরন।সোমবার সকালে সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান এ কর্মসূচির সূচনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) শেখ মোঃ ইয়াসিন আলী, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মোঃ আজম খান, সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক শেখ শরিফুল আলম, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ সকল শিক্ষক শিক্ষিকা।
পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আজকের শিশু আমাদের ভবিষ্যত । তাই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুরু থেকে যদি মাদক, জঙ্গিবাদ এবং বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা যায় তবেই বাংলাদেশকে আমরা সোনার বাংলা হিসাবে গড়ে তুলতে পারবো। একই সাথে প্রত্যেকটি পরিবারের গুরু জনের উচিত তাদের সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখা যাতে কোন ভাবেই সে কোনো অপকর্মের সাথে জড়িয়ে না পড়ে। পরে তিনি সকল শিক্ষার্থীকে মাদক, জঙ্গিবাদ এবং বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে শপথ পাঠ করান।
পুলিশ সুপার বলেন মাদক আমাদের সমাজকে কুরে কুরে খাচ্ছে। সমাজ থেকে মাদককে চিরকালের জন্য বিদায় করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন মাদক ব্যবহারকারী, মাদক সেবনকারী , মাদক চোরাচালানি ও মাদক কারবারী সমান অপরাধে অপরাধী। এদের বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন বাল্য বিবাহ সমাজের আরেক ক্ষত। বাল্য বিবাহ যেমন একজন শিশুর শিক্ষা জীবন ধ্বংস করে দেয় তেমনি বাল্য বিবাহের শিকার শিশু অল্প বয়সে মা হওয়ায় তার স্বাস্থ্যহানি ঘটে। এমনকি মা ও তার শিশুর মৃত্যু ঘনিয়ে আসে। তারা অপুষ্টি, খর্বাকৃতি, কম ওজন এবং শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধিতার শিকার হয়ে শিশু বয়স থেকেই রোগগ্রস্থ হয়ে পড়ে। পুলিশ সুপার আরও বলেন জঙ্গিবাদ সমাজের বিপজ্জনক শত্রু। এই শত্রুকে নির্মুল করতে না পারলে বাংলাদেশে পিছিয়ে পড়বে। একটি আলোকিত সমাজ গঠনে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও বাল্য বিবাহকে চিরদিনের মতো বিদায় করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।