নাজমুল আলম মুন্না ::সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে সাতক্ষীরায় জাতীয় যুব দিবস ২০১৮ উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ ও বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন হিউম্যান রাইটস্ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল এ্যাকশন ডেভেলপমেন্ট (হেড) এর আর্থিক সহযোগীতায় দিনব্যাপী যুব মেলার আয়োজন করা হয়।
“জেগেছে যুব, গড়বে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে ধারন করে ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর চত্তরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে যুব মেলা ২০১৮ প্রধান অতিথি থেকে শুভ উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। মেলা উদ্বোধন পরবর্তী জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যুব ভবনে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান জেলা প্রশাসক এস,এম, মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান, ডিডিএলজি শাহ আব্দুল সাদী, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল কাদের। অনুষ্ঠানে সহযোগীতাপূর্ণ অংশগ্রহন করেন স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠন বরসা, ব্রাক, সুশীলন, চুপড়িয়া মহিলা সংস্থা, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সসহ বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সহশ্রাধিক কর্মকর্তা কর্মচারি ও যুবক-যুবতীরা। সভা শেষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ১০ বছর পুর্তিতে বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরা হয় ভিডিও প্রজেক্টরের মাধ্যমে এছাড়া যুব ঋণের চেক বিতরণসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।
দিনব্যাপী এই মেলায় ষ্টল প্রদর্শনী করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বেসিক কম্পিউটার এন্ড আইসিটি এ্যাপ্লিকেশন প্রশিক্ষন কেন্দ্র, ইলেক্ট্রনিক্স প্রশিক্ষন কেন্দ্র, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয়, রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার কন্ডিশন প্রশিক্ষন কেন্দ্র, ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড হাউজ ওয়্যারিং প্রশিক্ষন কেন্দ্র, হিউম্যান রাইটস্ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল এ্যাকশন ডেভেলপমেন্ট (হেড),মধুমতি সমাজ উন্নয়ন সংঘ, মডার্ন অফিস ম্যানেজমেন্ট এন্ড কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশন প্রশিক্ষন কেন্দ্র ও পোষাক তৈরি প্রশিক্ষন কেন্দ্র। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে দুপুর ১ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে এক বর্নাঢ্য র্যালী আরম্ভ হয়। র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক অতিক্রম করে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এসে শেষ হয়।