জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন এলাকার মধ্যে খুলনার দাকোপ ও কয়রা উপজেলা অন্যতম। এই দুই উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের জনগোষ্ঠীকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সক্ষমতা তৈরিতে লোকাল গর্ভণমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) প্রকল্প চলমান আছে। প্রকল্পটিকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করতে আজ (শনিবার) খুলনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহা: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, কয়রা ও দাকোপ এলাকার মূল সমস্যা চিহ্নিত করা গেলে সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে। এই অঞ্চলের মূল সমস্যা বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন। বেড়িবাঁধ সুরক্ষার পাশাপাশি সুন্দরবনকে নিয়েও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এই অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বিঘœ করতে প্রথমে প্রয়োজন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে তাদেরকে সুরক্ষা দেওয়া।
সভায় প্রকল্পের ধারণাপত্র উপস্থাপনকালে খুলনার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ইশরাত জাহান জানান, দাকোপ উপজেলার কামারখোলা, তিলডাঙ্গা, পানখালী, বানিয়াশানতা ও সুতারখালী ইউনিয়ন এবং কয়রা উপজেলার মহারাজপুর, মহেশ^রীপুর, কয়রা, উ: বেদকাশী ও দ: বেদকাশী ইউনিয়ন অর্থাৎ ১০টি ইউনিয়নে লজিক প্রকল্প চলমান আছে। ঐ এলাকার এক হাজার পাঁচশ ৫২ জন উপকারভোগীকে নিয়ে একশত ১৫টি গ্রুপ তৈরি করে তাদেরকে দক্ষতা উন্নয়নসহ ভেড়া পালন, কাঁকড়া মোটা-তাজাকরণ, মাছচাষ এবং হাঁস ও মাছের সমন্বিত চাষ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১০টি ইউনিয়নে দুই কোটি ৫৫ লাখ ২৭ হাজার ছয়শ ২৯ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে প্রায় দুই লাখ মানুষ উপকৃত হবে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, খুলনা স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক হোসেন আলী খোন্দকার এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লজিক প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর সেলিনা শেলী খান।
পর্যালোচনা সভায় সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ দাতা সংস্থার প্রতিনিধি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদসমূহের চেয়ারম্যান, মেম্বার, সচিব ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
– তথ্য বিবরণীী।