জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের মূল্যায়ন, পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে খুলনার গল্লামারি মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার। খুলনা জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে নয়, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ উৎপাদন করতে হবে। সকল প্রকার মাছে অপদ্রব্য পুশ থেকে সকলকে বিরত থাকতে হবে। মিঠাপানিতে মাছচাষে বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। জিডিপির একটি অংশ আসে মৎস্য সেক্টর থেকে। মাছ সকল ক্ষেত্রে উপকারি, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাছ চাষের মাধ্যমে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য মাছের পাশাপাশি ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। মাছের গুণগতমান ঠিক রাখতে হবে।

খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইউসুপ আলীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক রণজিৎ কুমার পাল, মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দপ্তরের উপপরিচালক প্রীতিষ কুমার মল্লিক, মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দপ্তরের এবং কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স ম্যানেজার ড. নাজমুল আহসান এবং খুলনা ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মোঃ আব্দুল বাকী। স্বাগত জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবু ছাইদ। অনুষ্ঠানে রপ্তানীকারক, মৎস্যচাষী, মৎস্যজীবী সমিতি ও চিংড়িচাষী সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিভিন্ন ক্ষেত্রে মাছচাষে অবদানের জন্য সাত জন সফল মৎস্যচাষী এবং তিন টি সফল মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানীকারকদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদ পত্র বিতরণ করেন।
পরে প্রধান অতিথি মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী মৎস্য মেলার স্টল প্রতিনিধিদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণ করেন।
এবছর মাছ চাষে সফল মৎস্যচাষীরা হচ্ছেন: আমীর আলী গাইন কয়রা, মোঃ খায়রুল ইসলাম বটিয়াঘাটা, মোঃ আছলাম শেখ তেরখাদা, শেখ গোলাম মোস্তফা দিঘলিয়া, বাসুদেব বসু রূপসা, মোঃ মিলন মোল্লা, ফুলতলা এবং সুজিত মন্ডল, ডুমুরিয়া উপজেলা। মৎস্যপণ্য রপ্তানীকরণে জালালাবাদ ফ্রেজেন ফুডস লিঃ রূপসা, জেমিনি সী ফুডস লিঃ রূপসা এবং ছবি ফিস প্রসেসিং ইন্ডাস্টিজ লিঃ খুলনা।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন