১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী আয়োজিত সব অনুষ্ঠানে র‌্যাবসহ গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি থাকবে। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

রোববার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। এ সময় জননিরাপত্তা সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ সহ সব বাহিনীর প্রধান ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছি। যে অনুষ্ঠানগুলো হবে তার নিরাপত্তা এবং অনুষ্ঠানগুলো যাতে সুন্দরভাবে হয় সেজন্যই আমরা বৈঠক করেছি।

এ উপলক্ষে আজকের বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো হলো- জাতীয় শোক দিবসে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও সেদিনের জন্য করা হবে। ঢাকা বনানীস্থ কবর স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।

তিনি বলেন, জাতীয় শোক দিবসের সব অনুষ্ঠানেই পোশাকে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সাদা পোশাকের বাহিনী কাজ করবেন। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফাতেহা পাঠ, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোনাজাত, বিশেষ দোয়া মাহফিলে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অনুষ্ঠানের আয়োজনের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

তিনি আরও বলেন, শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকর্তৃক আয়োজিত সব অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অনুষ্ঠান স্থলে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফায়ার সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্সের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স এবং যেখানে যা প্রয়োজন ডুবুরিসহ উপস্থিত থাকবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে, ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি জাদুঘর, বনানী কবরস্থানসহ সারা দেশব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে র‌্যাবের টহল থাকবে। এদিন আয়োজিত সব অনুষ্ঠানে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। সব অনুষ্ঠানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। আরো থাকবে পানি, প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থারও। করোনা প্রতিরোধের লক্ষ্যে সব অনুষ্ঠানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সব অনুষ্ঠানে মাস্ক পরে প্রবেশ করতে হবে। আমরা অনুরোধ রাখবো মাস্ক ছাড়া কেউ যেন অনুষ্ঠানে না যায়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আরও কিছু নির্দেশনা যদি আসে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বিধিনিষেধ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, টিকা দেওয়ার বিষয়ে আমার সভাপতিত্বে একটি কমিটি হয়েছে। চলতি মাসের ৭ আগস্ট থেকে আমরা তার ব্যবস্থা করছি। টিকা দেওয়ার জন্য সবাইকে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য অনুরোধ করছি।  





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন