সিটিজেন জার্নালিস্ট (জিমি) : করোনা প্রতিরোধে ও মানুষকে ঘরে ফেরাতে সাতক্ষীরা জেলার বিঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল শনিবার সকালে তাঁর সরকারি ফেইজবুকে আল্টিমেটাম দেন যে আজ (শনিবার)সন্ধা ৬ টার থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত জেলার সকল দোকানপাট বন্ধ থাকবে শুধু মাত্র ঔষধের দোকান খোলা থাকবে।তিনি তাঁর সরকারি ফেইজবুক আইডি তে আরো লেখেন আজ সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে,এ নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
জেলা প্রশাসকের এমন আল্টিমেটামে সন্ধা ৬ টার পর থেকে জেলা শহরের সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। শুধু খোলা ছিলো লাবনীর মোড়ে ও হসপিটাল মোড়ের ঔষধের কয়েকটি দোকান।আল্টিমেটাম অনুযায়ী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সন্ধা ৬ টার পর থেকে ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সেনাবাহিনীর অগ্রগামী টিম নিয়ে পুরাতন সাতক্ষীরা বাজার, ব্রহ্মরাজপুর বাজার, সুলতানপুর বড়বাজার, চাল্তেতলা বাজার, কুখরালী আমতলা, নিউমার্কেট মোড় সহ শহরের বিভিন্নস্থানে জটিকা অভিযান চালান ও সচেতনতা মুলক প্রচারণা চালান।
এ সময় নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে ঔষধ বিক্রয় করায় সরদার ফার্মেসিকে ২০০০ টাকা, মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাঘুরি করায় একজনে ৫০০ টাকা এবং ত্রাণ দেওয়ার নামে অনেক মানুষকে জড়ো করায় নিউমার্কেট মোড়ে, ফিরোজ মাহমুদ নামের একজনকে ১০০০ টাকা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসক অভিযান শেষে সাংবাদিকদের বলেন প্রতিদিন সন্ধা ৬ টার পর থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত সকল দোকানপাট বন্ধ থাকবে শুধু মাত্র ঔষধের দোকান খোলা থাকবে। জেলা প্রশাসক বলেন সরকার আপনাদের ছুটি বাড়িয়েছে বাড়ি থাকার জন্য,কিন্তু আপনারা বাড়ি না থেকে সন্ধার পর বাজারে ঘুরাঘুরি করছেন, বাজারে এসে সামাজিক দুরত্ব না রেখে কেনাকাটা করছেন। এর ফলে আপনি করোনা আক্রান্ত হতে পারেন,বিক্রেতা করোনা হতে পারেন এক পর্যায়ে আপনার পরিবারও করোনা আক্রান্ত হতে পারেন।তিনি বলেন আজ বাংলাদেশে ৯ আক্রান্ত হয়েছে। আমাদের পুলিশ বাহিনী দিনরাত করোনা ঠেকাতে কাজ করছে, জেলা প্রশাসন কাজ করছে, সেনাবাহিনী কাজ করছে কিন্তু আপনাদের কোন রকম ঘরে রাখা যাচ্ছেনা। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আমি এ জেলার ডিসি হিসাবে,সেবক হিসাবে ও আপনাদের ভাই হিসাবে বার বার অনুরোধ করছি আপনার ঘরে থাকুন, বাহিরে বের হবেন না এবং বার বার সাবান দিয়ে হাত ধৌত করুন।তিনি বলেন জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যহত থাকবে।