সাতক্ষীরা জেলার বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের নির্দেশে জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা, ব্রহ্মরাজপুর, ধুলিহর ও সাতক্ষীরা পৌরসভার বেতনা তীরবর্তী কয়েকটি এলাকা শুক্রবার সকালে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চোধুরী। 

পরিদর্শনকালে নির্বাহী প্রকৌশলী পাউবো- ২, সহকারী কমিশনার(ভূমি) সাতক্ষীরা সদর, চেয়ারম্যান ব্রহ্মরাজপুর ও ধুলিহর ইউপি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে বর্তমান জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রাথমিকভাবে

১.নেট পাটা অপসারণ,
২. বেতনা নদীর ক্ষতিকবলিত পাড় দিয়ে রিংবাঁধ তৈরি,
৩. পানি নিরসনের জন্য ব্রহ্মরাজপুর হতে আশাশুনি উপজেলার গুনাকরকাটি পর্যন্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা এবং
৪. কুন্দরডাংগা ও কামারডাংগা স্লুইসগেট দিয়ে শালিখা নদী পর্যন্ত পানি চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে উপজেলা ভূমি অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয়ে একটি টেকনিক্যাল টীম গঠন করা হয়। উক্ত টীম সংশ্লিষ্ট এলাকাসমূহ সার্ভে করে একটি টেকনিক্যাল রিপোর্ট উপস্থাপন করবেন। সে অনুযায়ী জেলা প্রশাসন সাতক্ষীরার নেতৃত্বে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান ইউএনও দেবাশীষ চৌধুরী। 

নির্বাহী অফিসার তার অফিসিয়াল ফেইজবুক আইডিতে এবিষয়ে লিখেছেন…  প্রবাহমান, খরস্রোতা বেত্রাবতী/বেতনা নদীর মাঝখানে ১০/১২ বছরের একটি শিশুকে কোমর পানিতে দাড়িয়ে খেলা করতে দেখে হতবাক হলাম। যে নদী সাতক্ষীরাকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষার অন্যতম মাধ্যম, সেটি এখন প্রবাহমান করা একইসাথে প্রাণসায়ের খালটি পুনরুজ্জীবিত করা সাতক্ষীরার গণমানুষের প্রাণের দাবি হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি বাঁকাল খাল ও অন্যান্য খালগুলোকে ইছামতী ও কপোতাক্ষের মূল স্রোতধারার সাথে সংযোগ স্থাপন না করা গেলে অদূর ভবিষ্যতে সাতক্ষীরাবাসীর জন্য জলাবদ্ধতা ভয়ংকর রূপ নেবে।

এমতাবস্থায়, জলাবদ্ধতা নিরসনে সর্বস্তরের সমন্বিত উদ্যোগ অতীব জরুরি।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন