নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) মো. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন ১৪ ফেব্র“য়ারি অনুষ্ঠেয় পৌরসভা নির্বাচনে ভোটার ছাড়া দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি যাতে ভোটের গোপনকক্ষে প্রবেশ না করেন সেটি নিশ্চিত করতে হবে।পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্বরত নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এ নিদের্শনা দিয়ে নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে দায়িত্বরত নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার ভোটে অনিয়ম ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে জুন কনফারেন্সে অংশ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার এসব নিদের্শনা দেন।
সোমবার রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা। গতকাল নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশনের সচিব খোন্দকার হুমায়ুন কবির সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, জেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা নির্বাচন অফিসার সঙ্গে ভাচ্যুয়াল বৈঠক করেন।
দুপুর ১২টা থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী ওই বৈঠকে দুই বিভাগের সংশ্লিষ্টদের নির্বাচন অনিয়ম প্রতিরোধে কড়া বার্তা দেয়া হয়। নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, তুলনামূলক প্রথম থেকে তৃতীয় ধাপ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে এবং মাঠ প্রশাসনকে নিদের্শনা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা বদ্ধপরিকর। যেকোন নির্বাচনে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে শৈথিলতা বরদাশত করা হবে না, সেটি স্পষ্ট করে তাদের জানিয়ে দিয়েছি। বলেছি, বিগত দু-একটি নির্বাচনে কিছু বিশৃঙ্খলা ও জানমালের ক্ষতি হয়েছে। এবার ওই ঘটনার পুর্নরাবৃত্তি না ঘটুক -সে বিষয়ে সর্তক থাকতে আইন-শৃঙখলাবাহিনীকে তৎপর থাকতে কঠোরভাবে নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।
শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) জোরপূর্বক ভোটদান এবং ব্যালটে প্রকাশ্যে সিলমারা হলে ওই নির্বাচন বাতিল করা হবে। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্বাচনে অনিয়মের কোনো দায় কমিশন নেবে না। তবে কোন প্রার্থীর দ্বারা নির্বাচনী কর্মকর্তারা আক্রান্ত হলে কমিশন কঠোরভাবে ওই প্রার্থী বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটকেন্দ্রের গোপনকক্ষে ভোটার একা যাবেন। সেখানে দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদি এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে তাহলে নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উলেখ্য স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে বিভিন্ন ধাপে অনিয়ম, সহিংসতা, কেন্দ্র দখল, ব্যালটে সিলমারা ঘটনায় তিনটি পৌরসভার ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল স্থগিত করেছে কমিশন। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর, ঝালকাঠীর নলছিটি ও সাতক্ষীরার কলারোয়ার ফলাফল স্থগিত করে অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কঠোরভাবে অনিয়ম প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক শুরু করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। বিকালে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম খুলনা ও বরিশাল বিভাগের প্রশাসনের সঙ্গে সভা করেন।