কালীগঞ্জে মহাসড়কে চালককে কুপিয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত দুই ডাকাত সদস্যকে আটক সহ তাদের ব্যাবহৃত গাছ কাটা করাত ও হাসুয়া উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হল- শৈলকুপা উপজেলার হাজামপাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেন (৪৫) ও একই উপজেলার সাতগাছী গ্রামের আলম হোসেন (৪৫)। তাদেরকে আটকের পর রোববার দুপুরে কালীগঞ্জ থানাতে এক প্রেস ব্রিফিং করেন ঝিনাইদহ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুর রহিম মোল্ল্যা ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নজরুল ইসলাম।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২১ জুন ভোর রাতে কালীগঞ্জে যশোর -ঝিনাইদহ মহাসড়কের পিরোজপুর নামক স্থানে সড়কে গাছ ফেলে কয়েকটি গাড়ীতে ডাকাতি হয়। সে সময়ে ডাকাতদল সিরাজুল ইসলাম (৪৪) নামে এক চালক সদস্যকে হাসুয়া দিয়ে জখমের পর ৪০ হাজার টাকা লুট করে। এ ঘটনায় ওই ট্রাকের মালিক তরুন সাহা কালীগঞ্জ থানাতে মামলা দায়ের করায় তৎপর হয়ে উঠে পুলিশ।
ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টটর (তদন্ত) নজরুল ইসলাম আপডেট সাতক্ষীরা কে জানান, তাদের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় পুলিশী অভিযানের মাধ্যমে গত ১ জুলাই বিকালে ডাকাত সদস্য শৈলকুপার হাজামপাড়ার বিল্লাল হোসেনকে আটক করা হয়। এরপর তারই স্বীকারোক্তিতে পরদিন একই উপজেলার সাতগাছী গ্রামের আলম হোসেনকে আটক করে। তিনি জানান, আটককৃতরা ওই ডাকাতি ঘটনায় তাদের ৪ জনের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। তারা ওইদিন ভোরে ডাকাতি শেষে সড়কের পাশেই একটি পাট ক্ষেতে লুকিয়ে ছিল। সকাল হলে নসিমন যোগে কালীগঞ্জ শহরে এসে শৈলকুপাতে চলে যায়। ওসি (তদন্ত) আরো জানান, ডাকাত সদস্য বিল্লালকে আটকের পর আদালতে সোপর্দ্দ করলে সে ওই ডাকাতির কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছে। পুলিশ জানায়, আটক ওই দুই জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি ডাকাতির মামলা আছে। বাকী পলাতক অন্য ডাকাত সদস্যদের আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, আটককৃতরা ২০১৮ সালে কুষ্টিয়া মহাসড়কের শেখপাড়াতে ইসলামী বিশ^ বিদ্যালয়ের ভিসির গাড়ীতে ডাকাতির ঘটনায় সংশ্লিষ্টার কথাও স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ।