সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় জেলার ভিতরে রেকর্ড ব্রেক পরিমান মাদক উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ স্থান অর্জন করেছেন সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা শাখা।বৃহম্পতিবার সকালে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সের সন্মেলন কক্ষে জেলা পুলিশ সুপার জনাব মো:সাজ্জাদুর রহমান বিপিএম এঁর সভাপতিত্বে মাসিক ক্রাইম কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।ক্রাইম কনফারেন্সে জেলায় রেকর্ড ব্রেক মাদক উদ্ধার করায় জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ জনাব আলী আহম্মেদ হাশমী কে জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসাবে সন্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন পুলিশ সুপার মো:সাজ্জাদুর রহমান বিপিএম।
জেলা পুলিশের বিশেষ সূত্র জানায়,আজ বৃহম্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ সকাল ১০.১৫ মিনিটে পুলিশ লাইন্সের সন্মেলন কক্ষে জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।অপরাধ পর্যালোচনা সভায় আইন-শৃংখলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে অফিসার দের কে চৌকশ পুলিশের সন্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।অপরাধ পর্যালোচনা সভায় জেলার ভিতরে রেকর্ড ব্রেক মাদক উদ্ধার,অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামী আটক করে জেলার শ্রেষ্ঠ ইউনিট হিসাবে ডিবি পুলিশ ও জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসাবে ডিবি পুলিশের ইনচার্জ আলী আহম্মেদ হাশমী পুলিশ সুপারের নিকট থেকে সন্মাননা ক্রেস্ট পেয়েছেন।
অপর দিকে জেলার পূর্বজোনে রেকর্ড ব্রেক পরিমান মাদক দ্রব্য উদ্ধার,রেকর্ড ব্রেক পরিমান অস্ত্র উদ্ধার,নাশকতা মামলার আসামি ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসাসি গ্রেপ্তার করে টানা দশম বারের মত পূর্ব জেলার শ্রেষ্ঠ চৌকশ (ওসি)অফিসার ইনচার্জ হিসাবে সন্মাননা ক্রেস্ট পেয়েছেন আশাশুনি থানার ওসি বিপ্লব কুমার দেবনাথ।
এছাড়া অপরাধ সভায় পশ্চিম জোনের শ্রেষ্ঠ ওসি হিসাবে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো:মনিরুজ্জামান সন্মাননা ক্রেস্ট পেয়েছেন পুলিশ সুপারের নিকট থেকে।
এছাড়া জেলায় হিউজ পরিমান মাদক উদ্ধার,অস্ত্র উদ্ধার, নাশকতা মামলার আসামি ধরে জেলার শ্রেষ্ঠ সাব-ইন্সপেক্টর হিসাবে চৌকশ এসআই সন্মাননা অর্জন করেছেন সাতক্ষীরা থানার সাব-ইন্সপেক্টর হাসানুজ্জামান ।পুলিশ সুপার এসময় তাকে সন্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।
অপর দিকে জেলা গোয়েন্দা শাখার সাব-ইন্সপেক্টর রিয়াদুল ইসলাম রের্ডক ব্রেক মাদক,অস্ত্র,সন্ত্রাস ও নাশকতা মামলার আসামি গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা শাখার শ্রেষ্ঠ চৌকশ এসআই হিসাবে সন্মাননা পুরুস্কার অর্জন করেছেন।চৌকশ এসআই সন্মাননা পুরুস্কার গ্রহণের সময় গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ আলী আহম্মেদ হাশেমী উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষে জেলার আইন-শৃংখলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় তথা জেলার মধ্যে হিউজ পরিমান মাদক উদ্ধার, অস্ত্র উদ্ধার,নাশকতা মামলার আসামি ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী আটক করে জেলার শ্রেষ্ঠ এএসআই হিসাবে টানা পাঁচ বাবের মত জেলার শ্রেষ্ঠ চৌকশ এএসআই এর সন্মাননা ক্রেস্ট অর্জন করেছেন সাতক্ষীরা থানার সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর জহুরুল ইসলাম।
এছাড়া আইন-শৃংখলা রক্ষায় ও অপরাধ দমনে বিশেষ অবদান রাখায় জেনারেল ক্যাটাগরীতে চৌকশ পুলিশ অফিসারের সন্মাননা ক্রেস্ট অর্জন করেছেন সদর ফাড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর মনির হোসেন।
জেলা পুলিশের হেড কোয়াটার্সের সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় অপরাধ সভায় সভায় উপস্থিত ছিলেন সদর
সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার,কালিগঞ্জ সার্কেলের এডিশনাল এসপি মো:জামিরুল ইসলাম,তালা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার,দেবহাটা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াছীন আলী, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআই-১ আজম খান,গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ আলী আহম্মেদ হাশমী,ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক টিআই মোমিন হোসেন, সাতক্ষীরা থানার ওসি মো:মোস্তাফিজুর রহমান,সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) সেকেন্দার আলী,কলারোয়া থানার ওসি মনিরুজ্জামান,তালা থানার ওসি মেহেদী রাসেল,আশাশুনি থানার ওসি বিপ্লব কুমার দেবনাথ,কালিগঞ্জ থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান,দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার শাহ্,পাটকেল ঘাটা থানার ওসি,শ্যামনগর থানার ওসি সহ জেলা পুলিশের সকল পর্যায়ের স্টার্ফবৃন্দ উক্ত অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।