গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।
শনিবার (০৫ মার্চ) সকাল ০৯ টা ৫০ মিনিটের দিকে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান এবং ০৯ টা ৫৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় বিজিবি’র একটি সুসজ্জিত দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
এরপর ফাতেহা শরীফ পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ৭৫ এর ১৫ আগস্ট তাঁর পরিবারের শহীদ সদ্যস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘায়ু ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়। পরে মহাপরিচালক বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে বিজিবি মহাপরিচালক তাঁর অনুভুতি ব্যক্ত করে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিজিবি মহাপরিচালক হিসেবে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পেরে আমি নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যমান মনে করছি।’
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতির পিতা বিজিবিকে নবজীবন দান করেছিলেন উল্লেখ করে ডিজি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিবিকে যুগোপযোগী করে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলেছেন। বিজিবি এখন জলে, স্থলে ও আকাশপথে যেকোন দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম।’
বিজিবি’র মতো ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যবাহী বাহিনীর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করায় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক দেশ মাতৃকার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং দেশের মানুষের কল্যাণে সবাইকে সাথে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বিজিবি মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বিজিবি সদর দপ্তর এর উর্ধ্বতন কর্মকতা, যশোর রিজিয়ন কমান্ডার, গোপালগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) নাজমুন নাহার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল আলম, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র তোজাম্মেল হক টুটুল ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেদায়েতুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অপরাহ্নে মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বর্ণাঢ্য চাকরি জীবনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সবশেষ সেনা সদরের অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল হিসেবেও সাফল্যের পরিচয় দেন বিজিবির এই নতুন ডিজি। তাঁর দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্বে এই ত্রিমাত্রিক বাহিনী নব উচ্চতায় গিয়ে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে।