সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন জন্মাষ্টমীকে ঘিরে ডিএমপি কর্তৃক নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা মহানগরীতে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করা হবে।
জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম(বার), পিপিএম।
সভায় সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দকে আসন্ন জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে কোনো অনুষ্ঠানকে অধিকতর গুরুত্ব বিবেচনা করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়। নির্বাচনের বছর হওয়ায় বিরোধী দলগুলো এখন আন্দোলনমুখী। জন্মাষ্টমী পালনে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে জন্য ডিএমপি অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে থাকবে। নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার, এ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যেকটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। এ উৎসবকে ঘিরে কোন হুমকির তথ্য থাকলে পুলিশকে অবগত করার অনুরোধ করেন তিনি।
আসন্ন জন্মাষ্টমী উৎসব ও শোভাযাত্রায় সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, উৎসবকে ঘিরে কেউ যাতে সাইবার ওয়ার্ল্ডে প্রপাগন্ডা ছড়াতে না পারে এজন্য ডিএমপির সাইবার পুলিশ সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন কমিশনার।
সভার শুরুতে কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী শোভাযাত্রায় ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম-বার, পিপিএম। সভায় প্রতিটি মন্দিরে উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা স্থাপন, শোভাযাত্রা নির্দিষ্ট সময় শুরু ও শেষ করা, নির্ধারিত পোশাকে বা দৃশ্যমান আইডি কার্ডে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রাখা, শোভাযাত্রার মাঝে গ্যাপ না রাখা, ব্যাগ নিয়ে শোভাযাত্রায় না আসা এবং আযান ও নামাজের সময় বাদ্য বাজানো বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়।
সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)-সহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, ঢাকা ওয়াসা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, এসবি, এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।