কালিগঞ্জ উপজেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আলাদা কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক. জনপ্রতিনিধি ও এনজিও কর্মীরা কাজ করবে। এই উপজেলার মানুষ ডেঙ্গু রোগে চরম স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে রয়েছে। এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিজেদের দায়িত্ববোধ ও কতব্য কাজে লাগিয়ে জাগরণ সৃষ্ঠিতে কাজ করতে হবে। এ অঞ্চলের মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুকি থেকে বাচাঁতে এনজিও কর্মীদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে কাজ করতে হবে।

টেকসই পরিকল্পনা গ্রহন করে ডেঙ্গু মোকাবেলায় দেশের মধ্যে সাতক্ষীরাকে একটি মডেল জেলা হিসাবে তুলে ধরতে চাই। পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন, সবুজ পরিবেশ বান্ধব, সমাজ বিনির্মাণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। কুরবানীর ঈদের পর থেকে এই উপজেলায় ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহন করা হলেও আশানুরূপ ফল ফল না পাওয়ায় এসিড মশার কামড়ে বর্তমানে দুই শতাধিকের উপর ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ডেঙ্গুর উপর একাধিকবার পর্যালোচনা, জনসচেতনতা, পরিস্কার-পরিচ্ছনতা অভিযান চালিয়েছি। সাতক্ষীরা, কালিগঞ্জ ও তালা এই তিন উপজেলার মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশী আক্রান্ত হয়েছে কালিগঞ্জে এবং একজন মারা গেছে। তবে সচেতনাসহ বিভিন্ন কাযক্রম হাতে নেওয়ায় পূর্বের তুলনায় ডেঙ্গু রোগে আক্রন্তের সংখ্যা কমে এসেছে। ইতিমধ্যে কালিগঞ্জের প্রত্যেক ইউনিয়নে মশা নিধনে ১০টি করে স্প্রে মেশিন দেওয়া হয়েছে। এনজিও কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যেয়ে খানা ভিত্তিক ডেঙ্গু প্রতিরোধে এসিড মশা নিধন কার্যক্রম জরিপ ফরমেড করে একটি সঠিক চিত্র তুলে আনবেন। এখান থেকে ১০ দিন পর আমি এসে দেখবো কে কতটা কাজ করতে পেরেছে। “এডিস মশা নিধন করি, ডেঙ্গু মুক্ত দেশ গড়ি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে শনিবার দুপুরে সুশীলনের আয়োজনে কালিগঞ্জ অফিসে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংসে এনজিও কর্মীদের সাথে মতবিনিমিয় কালে এ সব কথা বলেন জেলা প্রশাসক এসএম, মোস্তফা কামাল। গাজী আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে মোস্তফা আক্তারুজ্জামান পল্টুর সঞ্চালনায় মতবিনিময় আরো বক্তব্য রাখেন মনিরুজ্জামান, শেখ আনোয়ার হোসেন, সুকুমার দাশ বাচ্চু, এ্যাডঃ জাফরুল্লাহ ইব্রাহিম, ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম, আশীষ কুমার হালদার প্রমুখ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন