ঢাকা মহারগরীর ট্রাফিক শৃংখলা উন্নয়নে ‘ট্রাফিক শৃংখলা পক্ষ-২০১৯’ উদ্বোধন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এমপি।

আজ ১৫ জানুয়ারি দুপুর ২টায় রাজধানীর গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ আয়োজিত ‘ট্রাফিক শৃংখলা পক্ষ-২০১৯’ উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএমসহ ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

‘ট্রাফিক শৃংখলা পক্ষ’ আজ থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৫ দিন। অর্থাৎ ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

ট্রাফিক শৃংখলা পক্ষ উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন- যানজট মুক্ত নগরী গড়তে আমাদের চাহিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করছে। সকলে ট্রাফিক শৃংখলা মেনে চললে যানজট হ্রাস পাবে। আমাদের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে এখন মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী উভয়ই হেলমেট ব্যবহার করছে। যা আগে হত না। এটা আমাদের একটি সাফল্য। গতবছর সড়কে বাস চালকের দায়িত্বহীন ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালানোর ফলে কোমলমতি দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। যা ছিল অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এই ঘটনার পরবর্তী সময়ে আমরা সড়কের বিশৃংখলা দূর করতে এই জিরো পয়েন্টে বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ উদ্বোধন করেছিলাম। আজও এখান থেকে ‘ট্রাফিক শৃংখলা পক্ষ’ উদ্বোধন করা হচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে আপনারা ট্রাফিক আইন মেনে চলুন।

সড়কের শৃংখলা উন্নয়নে কমিশনার বলেন, আজ থেকে ১৫ দিন পালন করা হবে ‘ট্রাফিক শৃংখলা পক্ষ-২০১৯’। গত বছর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ৩ দফায় ট্রাফিক শৃংখলা কার্যক্রম পালন করেছে। বিএনসিসি,রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্টসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা সড়কের শৃংখলা ফেরাতে নিরলসভাবে কাজ করেছে। গৃহীত কার্যক্রমে সড়কে বেশ কিছু দিকে উন্নতি হয়েছে। তবে যানজট নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা আশানুরূপ পূরণ হয়নি। আমরা ঢাকা মহানগরে ১৩০টি বাস স্টপেজ চিহ্নিত করেছি, এগুলো সিটি কর্পোরেশন বাস স্টপেজ হিসেবে তৈরি করছে। সেই সাথে ফুটওভার ব্রীজ ও ফুটপাত সংস্কারের কাজ চলছে। ঢাকা মহানগরীতে অনেক বড় বড় উন্নয়নমূলক কাজ চলছে ফলে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এক্ষেত্রে যানজট সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা দিন-রাত কাজ করছি।

তিনি আরো বলেন, ‘ট্রাফিক শৃংখলা পক্ষ’ পালনে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি ট্রাফিক শৃংখলা ফিরিয়ে আনা, ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সচেতনতা সৃষ্টি করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এই সময়টায় ঢাকা মহানগরে ৫৭টি স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে ট্রাফিক বিভাগ তাদের কার্যক্রম চালাবে। এসময় রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগীতা করবে। প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে রোভার স্কাউট ও বিএনসিসিকে সংযুক্ত করা হবে। সড়কে যানজটের জন্য কিছু সমস্যা সমাধান করা জরুরী। তার মধ্যে ভৌতকাঠামোর উন্নয়ন, ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা সংস্করণ, রাস্তা যত্রতত্র খোঁড়াখুড়ি বন্ধ করা। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা আইন না মানা। দেশের সুনাগরিক হিসেবে ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তা মেনে চলুন। ‘ট্রাফিক শৃংখলা পক্ষ’ শেষ নয়। আমরা বছর জুড়ে ট্রাফিক শৃংখলা আনয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম চালাবো। চলমান কার্যক্রম শেষে আমরা ফুটপাত দখল মুক্ত করে চলাচলের উপযোগী করতে কাজ করব। ‘ট্রাফিক শৃংখলা পক্ষ’ সফল করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

এরপর ‘ট্রাফিক শৃংখলা পক্ষ-২০১৯’ উদ্বোধন উপলক্ষে বেলুন উড়ান আগত অতিথিরা। উদ্বোধন শেষে ট্রাফিক সচেতনতামূলক লিফলেট যাত্রী ও চালকের মাঝে বিতরণসহ বিভিন্ন গাড়ীতে সচেতনতামূলক স্টিকার লাগনো হয়।
সূত্র: ডিএমপি নিউজ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন