
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় একজনই জড়িত বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। জায়গাটা নির্জন হওয়ায় এ ঘটনা ঘটাতে সাহস পেয়েছে অপরাধী।
সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ্ত কুমার চক্রবর্তী।
আসামিকে ধরার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে অভিযুক্ত একজন। আমরা ঘটনাটি নিবিড়ভাবে তদন্তের চেষ্টা করছি। তবে এই ধরনের ঘটনার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। পুলিশের পক্ষ থেকে অপরাধীকে খুঁজে বের করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।’
এদিকে ঘটনার পর সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি। আলামত হিসেবে পাওয়া গেছে- ভিকটিমের বস্ত্র, একটি ঘড়ি, দুটি ইনহেলার, একজোড়া জুতা, বই। এসব আলামত পরীক্ষার পর বিস্তারিত বলা যাবে বলে জানান ডিসি সুদীপ্ত কুমার।
গতকাল বিকাল সাড়ে পাঁচটার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন ঘটনার শিকার ওই ছাত্রী। কুর্মিটোলা বাস স্টেশনে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে।
রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান ওই ছাত্রী। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা রাত পৌনে একটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেন।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। রাতেই ঘটনার প্রতিবাদে ঢাবিতে মিছিল করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ্ত কুমার চক্রবর্তী জানান, ‘এই এলাকাটি ব্যস্ত এলাকায়। এখানে সাধারণত সবাই রানিংয়ে থাকেন। জায়গাটা নির্জন হওয়ায় এ ঘটনা ঘটাতে সাহস পেয়েছে অপরাধী। এই এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া আছে।’
সুদীপ্ত কুমার বলেন, এই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় আজ একটি মামলা করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তিন ভাগে অপরাধীকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। এজন্য আমরা প্রযুক্তি ও ম্যানুয়েলিও কাজ করছি।
এদিকে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যেহেতু এই ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা হয়েছে তাই অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠিয়ে দিয়েছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
