কলারোয়ায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘নৌকা’ বিজয়ের লক্ষ্যে চলছে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের ঐক্যবদ্ধ প্রচারাভিযান। সাতক্ষীরা-১ সংসদীয় এই আসনটি ধরে রাখতে পূর্ণপ্রাণ কর্মকান্ডে নিবেদিত রয়েছেন ঐক্যবদ্ধ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। দিন-রাতের ব্যবধান ভুলে নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা নৌকার প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। হাতে অবশিষ্ট আর মাত্র কয়েকটি দিন। উন্নয়ন. প্রগতি ও সমৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে স্বাধীনতার প্রতীক নৌকার জন্য ভোট চাইছেন সকলেই। উপজেলার পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিয়নে এখন প্রচার-প্রচারণায় নৌকার অবস্থান তুঙ্গে। ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ এই শ্লোগানে তরুণ ভোটাররা ভীষণ উদ্দীপ্ত হয়েছেন। তারা চাইছেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির এই ধারা বজায় রাখতে নৌকায় তাদের প্রথম ভোটটি দিতে। সবখানেই দেখা দিয়েছে নৌকার গণজোয়ার। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সুখি-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে তরুণ ও যুব সমাজ এবার নৌকাকে সবচেয়ে বেশি প্রধান্য দিয়েছে কলারোয়া উপজেলার সবখানেই। গত ১৫ ডিসেম্বর কলারোয়া পাইলট হাইস্কুল চত্বরে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে একই মঞ্চে নৌকা বিজয়ের জন্য ভোট চান সাবেক সংসদ সদস্য বিএম নজরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু, আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী, উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ। মূলত: সেইদিন থেকে উপজেলাব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে নৌকার গণজোয়ার। সমাবেশে শীর্ষ নেতাদের এক মঞ্চে, এক কাতারে অবস্থান করায় নেতা-কর্মী-সমর্থকগণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। সেই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, এমপি। এরপর থেকে উপজেলাব্যাপী পাল্টে যেতে থাকে দৃশ্যপট। নেতা-কর্মীদের মধ্যে বাড়তে থাকে স্বত:স্ফূর্ততা। উজ্জীবিত-উদ্দীপ্ত হয়ে সবাই নৌকা বিজয়ের লড়াইয়ে নেমে পড়েন। কলারোয়ার বাইরে অবস্থান করা মুক্তিযুদ্ধের চেতন অন্তরে গভীরভাবে ধারণ করেন, এমন অনেকেই নির্বাচনের জন্য নিজ এলাকায় ফিরতে থাকেন। কলারোয়ায় আসেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সিডনী আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন লাল্টু। গত ১১ ডিসেম্বর তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রচারে কাজ করার জন্য দেশে এসেছেন। এরপর থেকে তিনি তাঁর নিজ ইউনিয়ন কেঁড়াগাছিসহ বিভিন্ন এলাকায় নৌকার সমর্থনে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। কথা হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সীমান্তবর্তী বড়ালী গ্রামের বেনজীর হেলালের সাথে। তিনি অভিন্ন কন্ঠে জানালেন, নির্বাচনের জন্য তিনি এলাকায় এসেছেন। তিনিও নৌকার প্রায় প্রতিটি সভা-সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। তাঁর মতে, এদেশকে এগিয়ে নিতে নৌকার কোনো বিকল্প নেই। এরকম আরও অনেক মানুষ এলাকায় ফিরেছেন বা ফিরছেন নৌকার প্রচারকে আরও বেগবান করতে। আর নৌকা বিজয়ের এই প্রচারাভিযানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু। এই শীর্ষ দুই নেতা উপজেলাব্যাপী গণসংযোগ, উঠোন বৈঠক, পথ সভা-সমাবেশ বিরামহীনভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থীরা সেইভাবে নির্বাচনী মাঠে সরব না থাকায় নৌকার প্রচার এখন সবার থেকে এগিয়ে। নেতৃবন্দ আশা করছেন ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নৌকা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বাজারে নৌকার নির্বাচনী একাধিক কার্যালয় খোলা হয়েছে। শাকদাহ বাজারে অবস্থিত নির্বাচনী কার্যালয়ের জন্য বুধবার বিকেলে উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ে পোস্টার ও লিফলেট নিতে এসেছিলেন ছাত্রলীগ নেতা ফরিদুজ্জামান ফরিদ। তিনি জানান, তিনি শাকদাহ বাজারসহ ২টি নির্বাচনী কার্যালয় পরিচালনা করছেন। তিনি প্রতিদিন তরুণ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সকালে একাত্তরের যুদ্ধকালীন কমান্ডার আব্দুল গফফারের পুত্র ও কলারোয়া বার্তা’র সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানালেন, সকাল থেকে তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের সাথে নিয়ে নিয়ে নৌকার প্রচারে নেমেছেন। গাড়ি নিয়ে আনন্দচিত্তে তারা নৌকার লিফলেট বিলি করছেন এলাকার ভোটারদের মাঝে। তাদের এই প্রচারাভিযান তারুণ্যের জয়গানে মুখরিত হয়। জানা গেছে, বুধবার বিকেল থেকে রাত অবধি বামনখালি, যুগিখালি ও জয়নগর ইউনিয়নে গণসংযোগ ও সমাবেশ করেছেন নৌকার প্রার্থী এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, এমপি। বামনখালি বাজারে গণসংযোগকালে এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, এমপি’র মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করেন এক প্রবীণ ব্যক্তি। এ ছবিই বলে দেয় সাধারণ মানুষের মনের কথা। ইতোমধ্যে এলাকার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগে যোগ দিয়েছেন এমপি’র সহধর্মিণী নাসরিন খান লিপি। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন চলছে নৌকা উত্তোলন ও অফিস উদ্বোধন করা। বুধবার রাতে সীমান্তবর্তী বালিয়াডাঙ্গা বাজারে নৌকা উত্তোলন ও অফিস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আরাফাত হোসেন ও সিডনী আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন লাল্টু। ওই রাতেই সীমান্তবর্তী কেঁড়াগাছির গাড়াখালি মোড়ে নেতৃবৃন্দ নৌকা উত্তোলন করেন। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে নৌকার সমাবেশ হয়েছে কেরালকাতা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স চত্বরে। আজ শুক্রবার অনুরূপ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ল্ঙ্গালঝাড়া বাজারে। আগামীকাল খোরদো বাজারে নৌকার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সব মিলিয়ে বলা যায়, নৌকার প্রচারাভিযান বিরামহীনভাবে চলছে। প্রতিটি সমাবেশে বিপুল জনসমাগম ঘটছে। প্রতিটি সমাবেশেই তরুণ্যের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাদের বক্তব্যও এমন-‘তরুণ প্রজন্মের প্রথম ভোট, নৌকায় হোক’
সূত্র:পত্রদূত নেট।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন