পবিত্র মাহে রমজানেও থেমে নেই হোসেনের মাদক ব্যবসা।পুলিশ-র্যাব-বিজিবি ও সাাতক্ষীরা মাদক দ্রব নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নিয়মিত অভিযান পরিচালনে করে যাচ্ছেন।
এতে ছোট-খাটো মাদক ব্যবসাী,মাদক ব্যবসাী ধরা খেলেও বড় মাপের মাদক ব্যবসাীরা কৌশল পরিবর্তন করে থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোয়ার বাইরে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাদাম তলা বাজার থেকে কিছুদুর দুরে স্কুলের পাসের গলিতে হোসেন নামক মাদক ব্যবসাীর বসবাস।মানুষ যখন ইফতারির পর তারাবি নামাজ পড়াতে ব্যস্ত তখন হোসেন সেই সুযোগটাি নিয়ে প্রতিদিন ফেন্সিডিল বিক্রি করে যাচ্ছে এই কুক্ষাত মাদক ব্যবসায়ী হোসেন।
একাদিক বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, হোসেন তার ব্যবহৃত একটি নাম্বার দিয়ে মাদক কেনা বেচার কাজ করে (01303-932568)। সন্ধার পর থেকে রাত ১০-১১ টা পর্যন্ত চলে হোসেনের গলিতে মাদক ব্যবসা।
বিশ্বস্ত সুত্র আরো জানায়,মাঝে সাতক্ষীরা থানা পুলিশ কিছু দিন আগে মাদক সেবী সেজে ফেন্সিডিল অর্ডার করে হোসেন কে ৩৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ আটক করেছিলো।
সে মামলায় ১ মাস জেল খেটে হোসেন পুনরায় দাপিয়ে রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার সর্তে ঐ এলাকার এক জনপ্রতিনিধি জানান,হোসেন সহ হোসের বড় ভাই ও হোসেনের আপন মামা টুটুল তিন জনই ফেন্সিডিল -গাঁজা ও বিদেশি মদ বিক্রি করেন।ঐ জনপ্রতিনিধি আরো জানান,আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আল হাজ্জ আবদুর রউফ সাহেব কয়েকদফায় মাদক ব্যবসাী টুটুল ও তার ভাগ্নে হোসেন কে কঠোর হুশিয়ারী বার্তা দিয়েছেন কিন্তু চোর শোনেনা ধর্মের কথা। প্রতিদিনের কাঁচা টাকার নেশা এই মাদক ব্যবসাীরা ছাড়তে পারেনা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ভদ্র ঘরের মাদক সেবী জানান,হোসেন ১ হাজার টাকার ফেন্সিডিল ১৫০০ টাকায় বিক্রি করে। তাতে আবার হিসটাসিন / কোরেস সিরাপ মিশিয়ে ২ নং ফেন্সিডিল তৈরি করে। এতে মাাদক সেবীরা অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন দিন দিন।কয়েকজন মাদাক সেবী বলেছেন, মাদকব্যবসায়ীরা যদি ফেন্সিডিল না বিক্রি করে তাহলে তো আমরা আর মাদক স্পর্টে গিয়ে মাদক খুজে পাবোনা। আর মাদক না পেলে আর খেতেও পারবোনা বরং আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যাবো।মাদক হাতের হাতে সহজপ্রাপ্যতার কারনে মাদক সমাজের তরুণ ও কিশোর রা দিন দিন বেশি মাত্রায় মাদকাসক্ত হয়ে যাচ্ছে।
তাই আসুন আমরা আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কে মাদক ব্যবসাীদের সম্পর্কে তথ্য দেই, প্রয়োজনে মাদকব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দেই। মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে সকলেই এগিয়ে আসার আহবান এ প্রতিবেদকের।