খুলনা জেলার বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। গত ১০ বছরে দেশের সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। দেশের কোন মানুষের এখন আর অভাব নেই। অথচ এমন এক সময় ছিলো যখন মানুষ কোথাও বেড়াতে গেলে জামা ও গহনা ধার করতে হতো। বেশিরভাগ মানুষের তেমন কোন সক্ষমতা ছিল না। উন্নয়ন হলে দেশের সব কিছুই এগিয়ে যায়। এক সময় দেশে বিদ্যুতের প্রকট সংকট ছিলো। আগামী বছর দেশে ২১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। তখন দেশের কোথাও আর বিদ্যুৎ যাবে না। প্রবৃদ্ধি হবে ৮.৯৩ শতাংশ। বর্তমানে মানুষের গড় আয় ১ হাজার ৯০৯ ডলার। এখন কোথাও কুড়ে ঘর নেই। কয়েক বছর পর টিনের ঘর পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। আমরা সীমান্ত, মহাকাশ ও সমুদ্র বিজয় করেছি। ঘরে বাইরে সব খানে উন্নয়ন হয়েছে।
কিন্তু ভবিষ্যতে যারা এ দেশে নেতৃত্ব দেবে তারা আজ বিপদগামী। মাদকের মত ক্যান্সার এ দেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। বাঁধাগ্রস্থ করছে দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড। তিনি বলেন, দেশের প্রতি ২৫ জনে ১ জন মাদকাসক্ত। মাদক প্রতিরোধ করা না গেলে দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন ও সমাজে শান্তি আসবে না। তিনি ঐশীর উদাহরণ দিয়ে বলেন, মাদকাসক্তের কারণে পুলিশ দম্পতিকে নিজ সন্তানের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে। পরিবারের কেউ মাদকাসক্ত হলে সেই পরিবারে শান্তি থাকে না। বিয়ে-স্বাদি হতে চায় না, বিচ্ছেদের পরিমাণ বেড়ে যায়, দাম্পত্য জীবনে কলহ সৃষ্টি হয়। সন্তানকে মানুষ করতে না পারলে পিতা-মাতার জীবন বৃথা। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শিক্ষক পিতা-মাতা উলেখ করে তিনি বলেন, পরিবারে শান্তির জন্য সবার সঙ্গে সু-সম্পর্ক প্রয়োজন। সন্তানকে মানুষের মত মানুষ করার জন্য পিতা-মাতাকে দায়িত্বশীল হতে হবে। তিনি মাদক থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
সোমবার দুপুরে দিঘলীয়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ মজিদ ডিগ্রী কলেজ মাঠে মাদক বিরোধী ট্যাক্সফোর্সের সমাবেশ-২০১৯ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল আসাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তব্য প্রদান করেন জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্ললাহ বিপিএম,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো:জিয়াউর রহমান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বদিউজ্জামান প্রমূখ।এসময় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ বিপিএম বলেন আজ থেকে দিঘলীয়ার মাটিতে কোন মাদক ব্যবসায়ী থাকবেনা।দিঘলিয়া থেকে মাদকের শিকড়-বাকড় উপড়ে ফেলা হবে।যারা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে মাদক দিয়ে নষ্ট করে দিতে চায়, তাদের এ সমাজে বেঁচে থাকার কোন প্রয়োজন নেই।পুলিশ সুপার বলেন, আপনাদের এলাকায় কারা কারা মাদক কারবারীর সাথে জড়িত তাদের নাম দেন আমাকে। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ নিশ্চিত করবো।মাদক বিরোধী ট্যাক্সফোর্স সমাবেশে এসময় উপস্থথিত ছিলেন দিঘলিয়া থানার ওসি, দিঘলিয়া থানার পুলিশিং কমিটির সভাপতি,সেক্রেটারী,স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ সহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।