গর্জে উঠেছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ ।গত ১৩ অক্টোবর দুর্নীতির বিরুদ্ধে শপথ গ্রহণের পর ১৭ অক্টোবর একজন ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে ঘুষ চাওয়ার অপরাধে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন সাতক্ষীরা জেলার বিঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল।

অপরদিকে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়ার একটি ঘটনা জেলা পুলিশের ফেসবুক পেইজে সতর্কতামূলক পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন পুলিশ সুপার মোহম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম-বার। যদিও ঘুষ দাবিকারী সাদা পোশাকধারী সংস্থাটির পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি। তারপরও সতর্কতামূলক এই পোস্টের মাধ্যমে তিনি যে বার্তা জনসাধারণের কাছে পৌছে দিলেন তা ভবিষ্যতে ওই সংস্থাকে এধরণের কর্মকা- থেকে বিরত থাকার ক্ষেত্রে একটি ‘থ্রেট’ বলে মনে করছেন মানুষ।

সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশব্যাপী দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে।তারই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সকল জুয়ার বোর্ড গুড়িয়ে দিয়েছেন।এছাড়া মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়ছে একের পর এক।ধরা পড়েছেন ভুয়া ডিবি পুলিশ ও প্রতারণা চক্র। তাই বলা যায় সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ বসে নেই। অপরাধ দমনে কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিটি মুহুর্ত।

এদিকে ১৩ অক্টোবর সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোস্তফা কামাল, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শপথ করান এই বলে যে, ‘আমাদের অফিসে এসে কেউ হয়রানী হবে না, কারো কাছ থেকে অবৈধ সুযোগ সুবিধা নেবো না, আমাদের অফিস দুর্নীতিমুক্ত থাকবে।’ জেলা প্রশাসকের এই শপথের পর বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুষ-বাণিজ্যের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে অভিযোগের সত্যতা ও প্রমান পেয়ে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোখলেস আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল।

একইদিন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা পুলিশের ফেসবুক পেইজে একটি সতর্কতামূলক পোস্ট প্রকাশ করা হয়। ওই পোস্টে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও সংস্থাটির নাম পরিচয় তিনি প্রকাশ করেননি কতৃপক্ষ ।
এদিকে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ বিভাগের দুর্নীতি বিরোধী এ অভিযানে চাঞ্চল্যের সৃষ্ঠি হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের এই দুঢ় অবস্থান কে জেলার সুশীল সমাজ সাধুবাদ জানিয়েছেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন