রাইসুল ইসলাম রিফাত : ১৯৫৯ সালের ২৭ মার্চ শুক্রবার নকলা উপজেলার গৌড়দ্বার গ্রামে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন আবদুস সামাদ ফারুক ।
মরহুম আলহাজ্ব মো: আবদুল আহাদ ও মোছা: হাসনারা বেগম এর আলোকিত সন্তান সামাদ এখন দেশব্যপী পরিচিত।
১৩ চৈত্র শুক্রবার দুপুর বেলা ১৩৬৫ বঙ্গাব্দ, ২৭ মার্চ, ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দ। সামাদের জন্ম নানার বাড়ি নকলার গৌড়দ্বার গ্রামে। মোছা: হাসনারা বেগম তার মা এবং মরহুম আলহাজ মো: আবদুল আহাদ পিতা। তার নানী খন্দকার ফিরোজা বেগম, নানা মৌলভী মো: বদিউজ্জামান খান। নানার পিতা সৈয়দ জামাল খান। নানীর পিতার নাম খন্দকার সোলেমান এবং দাদার নাম মুন্সী জহির উদ্দিন খন্দকার (গ্রাম: বানেশ্বর্দী, উপজেলা: নকলা)।
সামাদের পৈত্রিক নিবাস রানীগাঁও গ্রাম, নালিতাবাড়ী, শেরপুর। দাদার নাম মাওলানা মো: হাসমত উল্লাহ দেওবন্দী। দাদীর নাম মোছা: ছায়েরা খাতুন। দাদার পিতার নাম মরহুম তরীপ মন্ডল।দাদার দাদার নাম মরহুম উমরাহ মন্ডল। মরহুম তরীপ মন্ডল নালিতাবাড়ী উপজেলার সূর্যনগর গ্রাম থেকে রানীগাঁও গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। দাদার নানার বাড়ী কলসপাড় গ্রামে। মরহুম আকবর আলী আকন্দ ছিলেন দাদার নানা। দাদীর বড় দুই ভাইয়ের নাম খোশ মামুদ তালুকদার এবং আলী হোসেন তালুকদার, লয়খা, নকলা।
আব্দুস সামাদ ফারুক সুলতানা নিলুফার জাহানকে বিয়ে করেন। তার শ্বশুর প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা: মো: আবদুল হামিদ । বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্নজীবনী’র ৭১ পৃষ্ঠায় আসানসোলে দাঙ্গায় আহত মানুষদেরকে সেবাদানের বিষয়ে তার নাম উল্লেখ করেন। শ্বাশুড়ী জোবেদা খাতুন। পিতা মরহুম শের মামুদ সরকার, নয়াবিল, নালিতাবাড়ী।
মূলত দাদার হাতে সামাদের হাতে খড়ি। রানীগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯৬৫ সালে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হন। প্রাথমিক শিক্ষার সময় শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মরহুম মো: নুরুল হকের কঠোর শাসন ও স্নেহাশীষ লাভ।
১৯৭০ সালে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ১০ টাকার সরকারি বৃত্তি লাভ করেন। নালিতাবাড়ী উপজেলায় দুজন ছাত্র এই বৃত্তি লাভ করেন। অপরজন মো: আমিন তারিক, পরবর্তীতে ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল।
১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাসে পিতার হাত ধরে তারাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে গমন এবং ৬ষ্ট শ্রেণীতে ভর্তি। হাই স্কুলে পড়াকালীন সময়ে শিক্ষা গুরু নগেন্দ্র চন্দ্র পাল বি,এ বিটি মহাশয়সহ শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণের স্নেহ লাভ করেন।
১৯৭৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় গণিতে লেটারসহ ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে ভর্তি। ঢাকা কলেজ থেকে দ্বিতীয় বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি কৃষি প্রকৌশলে ১৯৭৯-৮০ সেশনে ভর্তি এবং ১৯৮৩-৮৪ সেশনে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। এ সময় শাহজালাল হলের পূর্ব-৫ নং রুমে তিনি আবাসিক ছাত্র। পরবর্তীতে তিনি বিসিএস ‘৮৫ এর লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন।
লিখিত পরীক্ষার শেষ পর্যায়ে তাঁর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে চাকরি হয় এবং চট্রগ্রামে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ রাউজান, চট্টগ্রামে তিনি এজিএম এমএস হিসেবে ১৯৮৬ সালে কর্মজীবন শুরু করেন।
বিসিএস ’৮৫ এর এমসিকিউ/ মনস্তাত্বিক, মৌখিক ও শারীরিক পরীক্ষা শেষে ১৯৮৮ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি বিসিএস (সচিবালয়) ক্যাডারে সহকারি সচিব পদে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব/ সিনিয়র সহকারী সচিব পদে নিয়োজিত ছিলেন।
১৯৯৬ সালের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক হিসেবে কাজ করেন।
১৯৯৯ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ এবং ২০০১ সালে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সাড়ে চার বছর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ম্যাজিস্ট্রেট ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও উন্নয়ন) পদে ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডিতে উপ-সচিব পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে প্রায় তিন মাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন।
২০-০৪-২০০৯ থেকে ০৫-০২-২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি সাতক্ষীরা জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
০৮-০২-২০১২ থেকে ২৭-০৫-২০১২ পর্যন্ত যুগ্ম-সচিব (ওএসডি) হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত থাকেন।
২৮-০৫-২০১২ থেকে ১৯-০৮-২০১৪ পর্যন্ত তিনি রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেন।
২০-০৮-২০১৪ থেকে ১০-০৯-২০১৭ সাল পর্যন্ত বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) হিসেবে খুলনায় কর্মরত ছিলেন।
১১-০৯-২০১৭ থেকে ২৭-০২-২০২০ পর্যন্ত সচিব ও সিনিয়র সচিব হিসেবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
০৮-০৬-২০২০ সাল থেকে তিনি সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন-এর চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শিক্ষা জীবন:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি এগ্রি: ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী গ্রহণের পর ২০০৬ সালে সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স অফ বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিগ্রী অর্জন করেন। স্পেনে তিনি পরিবেশ বিষয়ক কোর্স “Quality and Environment for a Sustainable Tourist Development” অংশ গ্রহণ করেছিলেন।
যুক্তরাজ্যের University of Wolverhampton থেকে SuperMatt-2 কোর্স সম্পাদন করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Professional Development Program কোর্স সম্পন্ন করেন।
বিশ্বের ১ নম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের “Harvard University” থেকে “Leadership Development Course” কোর্সে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
জগৎ বিখ্যাত Oxford University এর কার্যক্রম তিনি দুইবার প্রত্যক্ষ করেন।
স্বীকৃতি, পুরস্কার ও সম্মাননা :
(১) মোঃ আবদুস সামাদ তাঁর উদ্ভাবনী শক্তি ও মেধার স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। তাঁর পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবেলায় অভিযোজন কাজ হিসেবে সাতক্ষীরার মৃত নদী মরিচ্চাপ খনন করা হয়। উক্ত কাজের মাধ্যমে নদ-নদীর নাব্যতা সৃষ্টি, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, খাদ্য উৎপাদন ও জীব বৈচিত্র্য সুরক্ষার জন্য জেলা প্রশাসন, সাতক্ষীরাকে প্রথমবারের মতো চালুকৃত HSBC- The Daily Star Climate Adaptation Award 2010 প্রদান;
(২) পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিবেশ সংরক্ষণমূলক কাজের জন্য তাকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস, ২০১১ এর জাতীয় অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মননা;
(৩) সাতক্ষীরা জেলায় জেলা ই-সেবা এবং ইউনিয়ন তথ্য সেবা কার্যক্রম সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য ১৪ নভেম্বর ২০১১ তাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হিসেবে তাকে পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান;
(৪) বাংলাদেশ লোক প্রশাসন কেন্দ্র, সাভার কর্তৃক আয়োজিত Managing at the Top-2 কোর্সের ২৮তম ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থীদের মূল্যায়নে তাঁকে শ্রেষ্ঠ উপস্থাপকের সম্মাননা প্রদান;
(৫) আইসিটিতে বিশেষ অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে স্বীকৃতি ও পুরস্কার লাভ;
(৬) বাল্যবিবাহ নিরোধ ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ইউনেস্কো ও কানাডার হাইকমিশনার প্রদত্ত সম্মাননা লাভ।
(৭) ঈক্ষণ সাংস্কৃতিক পরিষদ সম্মাননা ২০১৪, শুভেচ্ছা সাহিত্য পুরস্কার, ২০১১, কবিতা পরিষদ পুরস্কার ২০১০ লাভ করেন।
(৮) সাহিত্যে সৃজনশীল কাজের জন্য কবিতালাপ পুরস্কার, কবি সিকান্দার আবু জাফর পদক, দৈনিক দৃষ্টিপাত পুরস্কার, সমরেস বসু পুরস্কার, মাসিক সাহিত্য পত্রিকা সম্মাননাসহ এবং বহু সম্মাননা লাভ করেন।
সংগঠন সম্পৃক্ততা:
১। তিনি ঢাকাস্থ শেরপুর জেলা সমিতির নির্বাহী সভাপতি।
২। ঢাকাস্থ বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির সহ-সভাপতি।
৩। বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের নির্বাহী সভাপতি।
৪। বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয়পরিষদের সহ-সভাপতি।
৫। বৃহত্তর ময়মনসিংহ কর্মজীবি সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি।
৬। আন্তজার্তিক নজরুল চর্চা কেন্দ্রের নির্বাহী সভাপতি।
৭। বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য।
৮। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির জীবন সদস্য।
৯। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি।
১০। বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির নির্বাহী পরিষদের সদস্য।
১১। ঢাকা আহছানিয়া মিশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চেয়ারম্যান, অডিট কমিটি।
১২। আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের জীবন সদস্য।
১৩। উমেশ চন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরী, খুলনার জীবন সদস্য।
১৪। শেরপুর ডায়াবেটিক সমিতির জীবন সদস্য।
১৫। অফিসার্স ক্লাব ঢাকা ও অফিসার্স ক্লাব উত্তরার আজীবন সদস্য।
১৬। সদস্য, কৃষিবিদ ইন্সটিউশন, বাংলাদেশ (KIB), ঢাকা।
১৭। সদস্য, ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিউশন, বাংলাদেশ (IEB), ঢাকা।
১৮। সদস্য, অবসর কল্যাণ সমিতি, ঢাকা।
১৯। বিসিএস ’৮৫ ব্যাচের সদস্য।
২০। জাইকা অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সদস্য।
২১। সভাপতি, মাওলানা হাসমত উল্লাহ দেওবন্দী ফাউন্ডেশন।
২২। প্রধান উপদেষ্টা নালিতাবাড়ী ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব।
২৩। সভাপতি, তারাগঞ্জ মধ্যবাজার মসজিদ ও মাদ্রাসা কমিটি।
কর্ম জীবনে তিনি বহু প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক কাজ সম্পাদনা করেন যা সবই বলা সম্ভন নয়। কেবলমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলির সংক্ষিপ্ত শিরোনাম উল্লেখ করা হলো:
জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা হিসেবে:
২৫ মে ২০০৯ খ্রি: সুপার সাইক্লোন আইলা’য় বিধ্বস্ত সাতক্ষীরা জেলায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পুর্ণবাসন কাজ সফলতার সহিত সম্পাদন।
সাতক্ষীরা জেলায় Union Information and Service Center (UISC) কাজ শুরু করেন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা শুরুকরণ।
নাব্যতা পুনরুদ্ধার এবং জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানের জন্য সাতক্ষীরা জেলায় ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ মৃত মরিচ্চাপ নদী খনন।
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে ছোট যমুনা নদী খনন।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় সিকান্দার আবু জাফর পদক প্রবর্তন ও সাহিত্য উৎসব শুরু।
জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্ট চালুকরণ। সাতক্ষীরা জেলায় সাহিত্য চর্চাকে গতিশীল করার জন্য নিয়মিত সাহিত্য অনুষ্ঠান।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে তাঁর পরিকল্পনায় “আকাশ নীলা” ইকো পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন।
বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা হিসেবে:
বেসরকারি অর্থায়নে খুলনা বিভাগকে ভিক্ষুক মুক্তকরণ ও ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থাকরণ। খুলনা বিভাগের দশ জেলায় ২০৫৪ জন ভিক্ষুককে ভিক্ষা করা বন্ধ করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করণ।
মোংলা বন্দর থেকে কার্গো চলাচলের জন্য মোংলা -ঘষিয়াখালী চ্যানেল BIWTA- এর অর্থায়নে সম্পাদন করে কার্গো জাহাজগুলি সুন্দরবনের শ্যালা নদীর পরিবর্তে এই চ্যানেল ব্যবহার করে গমনা গমনের ব্যবস্থাকরণ।
সামুদ্রিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ডুবে যাওয়া তেলবাহী জাহাজ হতে ভাসমান তৈল সংগ্রহ করে সুন্দরবনকে সুরক্ষা।
সরকারী খাস জমি জায়গা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও মানুষের বিনোদনের জন্য খুলনা বিভাগে ২৭টি ইকো-পার্ক স্থাপন (এর মধ্যে উল্লেখ্য ‘শেখ রাসেল ইকো পার্ক’ খুলনার রূপসা সেতুর কাছে ২০০ বিঘা জমিতে অবস্থিত)।
খুলনা বিভাগে বিভিন্ন সেক্টরের কাজের উন্নয়ন, গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ১৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে “Administrative Convention Centre” নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ, অনুমোদনে সহায়তা দান ও বাস্তবায়ন তদারকী করণ।
খুলনা বিভাগে ফরমালিনমুক্ত আম উৎপাদন ও অর্গানিক সবজী উৎপাদন এবং বিদেশে রপ্তানীকরণে সহায়তা দান।
খুলনা বিভাগে বিভিন্ন দপ্তরে উন্নয়ন ও উদ্ভাবন কাজে উৎসাহ দান।
সিনিয়র সচিব/সচিব, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় হিসেবে:
চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন এবং পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ; জাইকার সহায়তায় চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ বে-টার্মিনালের পরিকল্পনা, নকশা প্রণয়ন প্রক্রিয়াকরণ।
জাইকার সহায়তায় মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনে ডিপিপি তৈরী।
পায়রা বন্দরের উন্নয়ন, রামনাবাদ চ্যানেল ড্রেজিং এবং জেটি নির্মাণ।
মোংলা বন্দর আধুনিকীকরণ এবং ২০০০ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং কাজের পরিকল্পনা, নকশা ও বাস্তবায়ন।
সমুদ্রপথে জাহাজ চলাচলের নিরীক্ষণের একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা গড়ে তোলা; নদীতে চলাচলকারী নৌযানের জন্য বিদ্যমান আইন কার্যকর করা; নদীতে নৌ- পরিবহনের ফিটনেস মনিটরিং ডিজিটাইজেশন, নিবন্ধন, এবং অন্যান্য বিষয়গুলি পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থাকরণ।
দেশের সমুদ্রে চব্বিশ ঘন্টা জাহাজ চলাচলের নিরীক্ষণের জন্য গ্লোবাল মেরিটাইম ডিস্ট্রেস সেফটি সিস্টেম (GMDSS) এর প্রবর্তন।
২.৯৯ মিলিয়ন TEUs (টুয়েন্টি-ফুট সমতুল্য ইউনিট) কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এবং ৯,৮২,৪০,৬৫৫ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিং সম্পন্নের ব্যবস্থাকরণ। নিরবচ্ছিন্ন সহযোগীতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ৩৬৯৯টি জাহাজ আগমন করে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহায়তায় কর্ণফুলী নদীর (একটি ড্রেজিং প্রকল্প) কর্ণফুলী তীর থেকে বাকলিয়ার চর পর্যন্ত নাব্যতা বৃদ্ধি করা।
৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বিদ্যমান হাসপাতালের স্থানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) হাসপাতাল কমপ্লেক্স নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএ- এর জন্য ৩২০০ BHP টাগ বোট সংগ্রহ।
যে সকল কর্মকর্তারা উদ্ভাবন কাজ ভালভাবে সম্পন্ন করেছেন তাদেরকে বিভাগীয় স্বর্ণ পদক, রৌপ্য পদক ও ব্রোঞ্জ পদক প্রদান। পদক প্রদান করেন সাবেক মূখ্য সচিব জনাব আবুল কালাম আজাদ এবং দ্বিতীয় বার সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব জনাব মোঃ শফিউল আলম।
কক্সবাজার জেলার মাতারবাড়িতে একটি ৩০০ মিটার বহুমুখী কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ (১৬ মিটার গভীর) এবং জাইকার অর্থায়ন ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় ৪৬০ মিটার কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ।
‘নিউ মুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের জন্য সরঞ্জাম সংগ্রহের (NCT-১ম সংশোধনী) লক্ষে ৫১ ধরনের যন্ত্রপাতি ক্রয় করা, যেমন-১০টি গ্যান্ট্রি ক্রেন, ২০টি রাবার-টায়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন, ১০টি স্ট্র্যাডল ক্যারিয়ার, ৪টি রিচ স্ট্যাকার, ১টি মোবাইল হার্বার, ১টি রেল-মাউন্টেড ক্রেন এবং ৫টি কন্টেইনার মুভার।
ঢাকা শহরের চারপার্শ্বের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষা, বালু এবং তুরাগ নদীর তীরবর্তী ৫২৩৯টি অবৈধ দখলকৃত স্থাপনা উচ্ছেদ ও ধ্বংস করা, ১৪৫.৬০ একর জমি উদ্ধার করা এবং ২৭,০৬,০০০ টাকা জরিমানা আদায়।
বিআইডব্লিউটিএ-এর মাধ্যমে ঢাকার চার পাশের নদীর তীরে ৮৪৮.৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ৫২ কিমি ওয়াকওয়ে, ১০,৮২০টি সীমানা স্তম্ভ, নদীর তীরে বনায়ন, ০৩টি ইকো-পার্ক, ৬টি পন্টুন, ৪০কি.মি কী ওয়াল, ১৯টি আরসিসি জেটি, ৪০টি স্পড এবং ৪০৯টি বেঞ্চ নির্মাণ।
২০১৮-১৯ সালে অভ্যন্তরীণ নৌ পথে ১৩৯.৬৩ লক্ষ ঘনমিটার সংরক্ষণ ড্রেজিং এবং ৪১৫.০২ লক্ষ ঘনমিটার উন্নয়ন ড্রেজিং সম্পন্ন করণ।
চট্টগ্রাম ও সন্দীপের মধ্যে আরও ভাল যোগাযোগের জন্য সন্দীপের গুপ্তাছড়ায় আরসিসি জেটি নির্মাণ, সন্দীপ চ্যানেলে ১০৬৭ মিটার দীর্ঘ আরসিসি জেটি, নাফ নদীর পর্যটন স্পটে ২২০টি জেটি (আরসিসি পিলার দিয়ে নির্মিত), কক্সবাজারের ৬ নম্বর তীরে জেটি, রামচন্দ্রপুর ও এখলাসপুর লঞ্চ টার্মিনালে ষ্টিল জেটি এবং স্পড জেটি নির্মাণ।
শিমুলিয়া (মাওয়া)তে স্পিড বোট টার্মিনাল নির্মাণ, মাঝিকান্দি ও নড়িয়ার যাত্রীদের জন্য ১টি জেটি, শিমুলিয়া লঞ্চ টার্মিনালে ৪টি জেটি ও ৮টি স্পাড, ১টি জেটি এবং বরিশালের মিরেরহাটে ৩০টি ব্যাস/ব্যাসের ২টি এমএস স্পড নির্মাণ।
বরগুনার বানিয়াতলী-চরশিবা ফেরি ঘাট নির্মাণ, হরিনা-আলুবাজার ফেরি টার্মিনাল থেকে ফেরি ঘাটের দিকে বাইপাস সড়ক নির্মাণ, খুলনা নদীবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ১৩০ ফুট পাইলিং পুনঃর্নির্মাণ, নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের অধীন খানপুর অফিসার্স কোয়ার্টারের ক্ষতিগ্রস্ত সীমানা প্রাচীর সংস্কার।
যাত্রী ও যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য সদরঘাটের ওয়াইসঘাটে পার্কিং ইয়ার্ড নির্মাণ, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ নদী বন্দরে এমএস স্পাড নির্মাণ।
১০টি ড্রেজার এবং ৩০টি অভ্যন্তরীণ জলযান সংগ্রহ ‘সহায়ক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সহ ২০টি ড্রেজার’ এবং ১০টি জলযান (১০টি ড্রেজার, ক্রেন বোট, টাগ বোট, অফিসার হাউসবোট এবং ক্রু হাউসবোট সরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতি) সংগ্রহ করা হয়।
৩৫টি ড্রেজার এবং ১৬১টি জলযান সংগ্রহ করা অন্যান্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে BIWTC-এর ডক ৩- এ ৯৯০.০০ কোটি টাকা ব্যয়ে (BIWTC-এর নিজস্ব তহবিল) দ্বারা সামুদ্রিক Workshop স্থাপন এবং অবকাঠামো উন্নয়ন।
১৩১৯.৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি রিভার ক্রুজার ৩টি অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী জাহাজ, ৪টি উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ, ৮টি সমুদ্র ট্রাক, ২টি অগ্নিনির্বাপক কাম স্যালভেজ টাগ, ২টি তেল ট্যাঙ্কার (ডাবল হাল ডাবল বটম), ৬টি উন্নত কে-টাইপ ফেরি, ৬টি উন্নত ইউটিলিটি ফেরি, ১টি কেবিন ক্রুজার কাম ইন্সপেকশন বোট এবং ৮টি পন্টুন-মোট ৪৩টি জলযান/জলবাহী জাহাজ ‘৩৫টি বাণিজ্যিক পণ্য সংগ্রহ এবং ৮টি পণ্যসম্ভার এবং ২টি নতুন স্লিপওয়ে নির্মাণ।
ঢাকা-বরিশাল-খুলনা রুটে চলাচলের জন্য ২টি নতুন যাত্রীবাহী জাহাজ তৈরি।
পুরানো ডাম্ব ফেরি প্রতিস্থাপনের জন্য ২টি নতুন আপগ্রেড K-টাইপ ফেরি তৈরি।
পায়রা বন্দর নির্মাণের জন্য ৬,৫০০ একর জমি অধিগ্রহণ এবং ৩,৫০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ।
সেই পরিবারের ৪,২০০ জনকে স্বাবলম্বী করতে ১৫৫টি বিভিন্ন ব্যবসায় প্রশিক্ষণ প্রদান।
মোংলা বন্দরের জন্য গিয়ারলেস জাহাজ এবং টাগ বোট পরিচালনার লক্ষে মোবাইল হারবাল ক্রেন সংগ্রহ করা হয় এবং হিরণ পয়েন্টে পাইলট-ভিত্তিক স্টেশনের জন্য ৫০ কেভিএ জেনারেটর সংগ্রহ করা।
নীলকোমল খালের ড্রেজিং সহ মোংলা বন্দর থেকে রামপাল পাওয়ার হাউস পর্যন্ত ক্যাপিটাল ড্রেজিং।
শিপিং কর্পোরেশনের বহরে ৬টি কার্গো জাহাজ অন্তর্ভুক্ত করন (তিনটি তেল ট্যাঙ্কার এবং তিনটি নতুন বাল্ক ক্যারিয়ার, প্রতিটি প্রায় ৩৯,০০০ DWT।
চট্টগ্রামের ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট থেকে প্রি-সি কোর্সে ১৩৩ জন এবং পোস্ট-সি কোর্সে ১৮৩২ জনের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট দ্বারা ৩০০জন লোকের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি মসজিদের সংস্কার করা হয় যেখানে ১টি গেট, ১টি কম্পিউটার ল্যাব এবং একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গ্লোবাল মেরিটাইম ডিস্ট্রেস অ্যান্ড সেফটি সিস্টেম (GMDSS) এর অধীনে আগারগাঁওয়ে মেরিটাইম ডিপার্টমেন্টের প্রধান কার্যালয়ে একটি বাতিঘর এবং ৪টি স্থানে ৪টি বাতিঘর নির্মাণ।
তামাবিল বন্দর উন্নয়নের লক্ষে আমদানি ও রপ্তানিকৃত পণ্যের জন্য গুদাম, পার্কিং ইয়ার্ড, অফিস ভবন নির্মাণ।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৫৬.৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাউথ এশিয়া সাব- রিজনাল ইকোনমিক জোন সি-অপারেশন (এসএএসইসি) সড়ক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় বেনাপোল এবং বুড়িমারী বন্দরে গুদাম, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, ইয়ার্ড এবং ড্রেনেজ সিস্টেমের উন্নয়ন।
নকলা-নালিতাবাড়ীসহ শেরপুর জেলার উন্নয়ন কাজ:
(১) ১৯৯৩ সালের স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী সচিবপদে কর্মরত থাকাকালীন নালিতাবাড়ী পৌরসভা স্থাপন এবং ট্যাক্সসহ অর্থ বরাদ্দকরণ।
(২) ১৯৯৪ সালে নালিতাবাড়ী-ধারা রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য এলজিইডি-এর অধীনস্থ অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় তালিকা অন্তর্ভুক্তিকরণসহ অর্থ বরাদ্দকরণ।
(৩) তাছাড়াও এলজিইডি-এর আওতায় বিভিন্ন রাস্তাঘাট, অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ ও যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে তা বাস্তবায়ন।
(৪) বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ৪০০টি পানি খাওয়ার নলকূপ স্থাপন।
(৫) কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ১২,০০০০০ (বার লক্ষ) টাকা অনুদান বিতরণ, মাস্ক ও সেনিটাইজার বিতরণ।
(৬) বিভিন্ন হাইস্কুল, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ভবন নির্মাণের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে ভবন নির্মাণ।
(৭) শিক্ষা মন্ত্রণায়ের সাথে যোগাযোগ করে একাডেমিক স্বীকৃতি ও এমপিওভূক্তির ব্যবস্থাকরণ।
(৮) উন্নত জাতের আম চাষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান।
(৯) কয়েকশত বেকার ছেলে-মেয়েকে সরকারি সংস্থা/ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরির ব্যবস্থাকরণ।
(১০) তারাগঞ্জ মধ্যবাজার মসজিদটির ৬তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে ৪তলা পর্যন্ত নির্মাণে অর্থ সংগ্রহ করে নির্মাণ সম্পন্নকরণ।
(১১) গৌড়দ্বার বাজার মসজিদটি ২তলা পর্যন্ত নির্মাণ সম্পন্নকরণ।
(১২) নকলা-নালিতাবাড়ীর ৩শত মসজিদকে ২তলা/ ১তলা ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে সংগ্রহ করে অনুদান প্রদান।
(১৩) শেরপুর জেলার ৫টি উপজেলাকে সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ)-এর অন্তর্ভুক্তীকরণ। দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি গ্রহণ। অক্ষম জনগোষ্ঠীকে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) কিংবা ৯,০০০/- (নয় হাজার) টাকা করে অনুদান প্রদান। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকরণ। গ্রাম সমিতিগুলোকে গড়ে ৪০,০০০০০/- (চল্লিশ লক্ষ) টাকা পর্যন্ত তহবিল প্রদান। এই অর্থ দ্বারা আত্ন-কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টি।
সাহিত্য চর্চা:
(১) “ঘাস ফড়িংয়ের জোছনাস্নান” ও “শিশিরে জীবন কল্লোল” তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
(২) হাজার বছরের নদী বিষয়ক কবিতার সংকলন “কল্লোলিনীর কলতান” সম্পাদিত গ্রন্থ।
(৩) মহান মুক্তিযুদ্ধের চিরঞ্জীব শহিদ স্বাধীনতার পদক প্রাপ্ত ন. ম নাজমুল আহসানের জীবন ও যুদ্ধ নিয়ে প্রকাশিত তাঁর অসাধারণ গ্রন্থ “জল জোছনায় নাজমুল”। তাঁর অপর গদ্য গ্রন্থ “আলো হাতে আঁধারের যাত্রী”।
(৪) তাঁর প্রেরণায় ও প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত ২য় দুটি গ্রন্থ:
(ক) উস্তাদ কাউছার আলীর জীবন ও কর্ম ।
(খ) তবিবুর রহমান: জীবন ও কর্ম ।
(৫) সাতক্ষীরা জেলায় তাঁর সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রকাশিত হয় দুটো গ্রন্থ:
(ক) সাতক্ষীরা জেলা সাংস্কৃতিক পরিষদ প্রকাশ করে “পুষ্পাঞ্জলি”
(খ) মণ্ময় মুনীর সম্পাদিত “শুভ্র সমুজ্জ্বল”
বিদেশ সফরঃ
সরকারী গুরুত্বপূর্ণ কাজে তিনি সেমিনার, সম্মেলনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের লক্ষে বিশ্বের অনেক দেশ সফর করেন। বিদেশ সফরের মধ্যে রয়েছে- জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, জার্মানী, স্পেন, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ভারত, সিংগাপুর, শ্রীলংকা, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, কাতার, দক্ষিণ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, ফ্রান্স, পর্তুগাল, আজারবাইজান এবং তুরস্ক।
রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা: মো: আবদুস সামাদ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে শেরপুর সরকারি কলেজ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭৯-৮০ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত অবদান রাখেন। তিনি ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ডা: নাদিরুজ্জামান খানের পক্ষে কাজ করেন। তাঁর নানা ডা: নাদিরুজ্জামান খান ১৯৭০ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে MPA হিসেবে নির্বাচিত হন। জনাব খান ১৯৭৯ ও ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দিতা করেন। তাঁর ছোট ভাই মো: আবদুস সবুর নাজমুল স্মৃতি কলেজ থেকে ছাত্রলীগের প্যানেলে নির্বাচিত ভিপি এবং বর্তমানে নালিতাবাড়ী উপজেলার আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বাঘবেড় ইউপি’র তিন বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। বর্তমানে জনাব মো: আবদুস সামাদ সদস্য, যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।
বর্তমানে তিনি সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ)-এর গভার্নিং বডির চেয়ারপার্সন হিসেবে অনারারী দায়িত্ব পালন করছেন।
সুদীর্ঘ কর্ম জীবনে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে বহু প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক কাজ সম্পাদনা করেছেন।
তিনি তার কর্মজীবনে নানান সেবামূলক কাজ করে সুনাম বয়ে এনেছে এলাকাবাসীসহ দেশবাসীর মুখে। তাকে নিয়ে প্রশংসায় মেতে উঠেছেন সর্বমহল।