কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশ এক সময় ছিল খাদ্য ঘাটতির দেশ, দুর্ভিক্ষের দেশ, পৃথিবীতে আমরা খাদ্যের জন্য ঘুরে বেড়াতাম। তবে আজকে অত্যন্ত খুশির কথা, আনন্দের কথা; দানা জাতীয় খাদ্য- চাল, গম, ভুট্টা এগুলোতে আমরা পিছিয়ে নেই। যদি অনুকূল আবহাওয়া থাকে, তাহলে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন। কোন কোন বছর উদবৃত্তও হয়। এই প্রেক্ষিতে সরকার দুই মেয়াদ শেষ করে তৃতীয় মেয়াদে যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছে, সেখানে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের এখন পুষ্টি জাতীয় খাবারের নিশ্চয়তা দিতে হবে। আমাদের নিরাপদ খদ্যের নিশ্চয়তা দিতে হবে।’ এই লক্ষে আমরা আমাদের যে অগ্রাধিকার সেক্টর আছে, তার মধ্যে কৃষি সেক্টরকে আধুনিকীকরণ ও জাতীয়করণ করতে চাই এবং কৃষি পণ্যের প্রক্রিয়া জাত করে এ গুলোর দাম বৃদ্ধি করতে চাই এবং মূল্য সংযোজন করতে চাই।
রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কামারালী মাঠে টমেটো ক্ষেত পরিদর্শন শেষে সেখানে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ভারত থেকে দেশে আর কোন টমেটো আমদানি করা হবে না। এটি আমরা বন্ধ করব। আমরা আমাদের দেশ থেকে বরং টমেটো বিদেশে রপ্তানি করব। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। চাষিদের সহযোগিতা দিচ্ছি এবং প্রণোদোনাও দিচ্ছি। উপকূলবর্তী এলাকায় আগে একটি মাত্র ফসল হতো- সেটি রোপা আমন। সেখানে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি ভবিষ্যতে এখানে শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন লবণাক্ত সহিষ্ন ধানের জাত-৬৭ আবাদ শুরু হবে। ইতোমধ্যে আবাদ শুরুও হয়েছে। এটির ব্যাপক আবাদ হবে। এটার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশও দিয়েছেন যে দ্রুত এই ধান পুরো এলাকায় ছড়িয়ে দেয়ার জন্য। এর জন্য আরো লবণমুক্ত পানির ব্যবস্থা করতে হবে। যেটি নিয়ে আমরা চিন্তা করছি এবং কাজও করছি।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন- সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুসায়ুন কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সাবেক এমপি মুজিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সজিব খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন প্রমুখ।
পরে মন্ত্রী একই উপজেলার বাটরা গ্রামের আরো একটি টমেটো ক্ষেত পরিদর্শন শেষে কলারোয়া উপজেলা পরিষদে যান।