আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে কোনো নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। পুজা মন্দিরের নিরাপত্তার স্বার্থে পূজা মন্ডপে কোনো ধরনের ব্যাগ, দাহ্য পদার্থ বহন না করারও অনুরোধ জানিয়ে নড়াইলের পুলিশ সুপার বলেন, প্রতিটি মন্ডপ ঘিরে আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো। আমরা নড়াইলবাসীকে জানাতে চাই, কোনো ধরণের কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। তবে আমরা সতর্ক থাকবো, যাতে জনগণের জানমালের কোনো ক্ষতি না হয়। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম বলেন, নড়াইলের ৫৬৩টি মন্ডপে পূজা উদযাপিত হবে। বিশেষ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে সবগুলো মন্ডপে আমাদের পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। বড় মন্ডপগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা, প্রবেশ দ্বারে আর্চওয়ে মোতায়েন করা হবে। পোশাকি পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা তৎপর থাকবেন। মন্ডপগুলোর পাশে ফায়ার টেন্ডার থাকবে। কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। এখানে নড়াইলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, পিপিএম,সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মেহেদী হাসান, সহকারি পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স) মোঃ জালাল উদ্দিন, সহকারি পুলিশ সুপার (প্র.বি.) মোঃ ইশতিয়াক আহম্মেদ, নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন, ডিবি পুলিশের ওসি আশিকুর রহমান।
পূজা চলাকালে পটকা, আতশবাজি ও মাদকদ্রব্যের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। যেসব জায়গায় বিসর্জন দেওয়া হবে সেসব জায়গায় বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। পূজা চলাকালে মুসলমান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় কার্যক্রম যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেজন্য নামাজ ও আজানের সময় বাদ্যযন্ত্র না বাজানো বা সীমিত রাখার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া আগামী শুক্রবার জুম্মার নামাজ উপলক্ষ্যে দুপুর ১২ টা থেকে ২টা পর্যন্ত সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম, তিনি আমাদের নড়াইল প্রতিনিধিউজ্জ্বল রায়কে জানান, পূজা শুরুর আগে থেকেই বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা চেক পোস্ট চালু করা হয়েছে। পূজা মন্ডপগুলোতে ব্যাগ, ব্যাগপ্যাক,ছুরি, চাকু ও দাহ্যপদার্থ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া শোভাযাত্রায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। শোভাযাত্রার পথে কোনও ধরনের হকার বা অস্থায়ী দোকান থাকতে দেওয়া হবে না। এসব নিরাপত্তার মাধ্যমে পূজা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।