সিটিজেন জার্নালিস্ট(জিমি):
সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনির ভোলানাথপুরে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর অর্ধেক ১৬টি ব্যারাকের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে করে নিরাপদ বাসস্থান পেয়েছে ৮০টি ছিন্নমুল পরিবার। বাকি কাজ শেষ হলে আরো ৮০টি পরিবারের নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দক্ষিনাঞ্চলের ছিন্নমুল জনগোষ্ঠী, প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত ও নদী ভাঙনে বসতবাড়ি হারানো মানুষের নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে আশ্রয়ন প্রকল্প হাতে নেন। আশাশুনি উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে আনুলিয়া ইউনিয়নের ভোলানাথপুর গ্রামে কপোতাক্ষ নদের চরে ১৪ একর খাস সম্পত্তিতে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর জন্য স্থান নির্ধারিত হয়।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে চরভরাটের জন্য ৩৫৭ মেট্রিকটন চাউল বরাদ্ধ হয়। এর মধ্যে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৭৫ মেট্রিকটন চাউল পেলে আগস্ট মাসে শুরু হয়ে ১৭ এপ্রিলের ১৭ তারিখে ৪৮% ভাগ মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়। এরপর সেখানে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে শুরু হয় ছিন্নমুল বাস্তহারাদের নিরাপদ বাসস্থানের ভবন নির্মাণের কাজ। পাশাপাশি দু’টি সারিবদ্ধভাবে মোট ১৬টি ব্যারাকের কাজ শেষ হয় গত বছরেই। এক একটি ব্যারাকে ৫টি করে পরিবার বসবাস করতে পারবে। এর মধ্যে ইউনিয়নের ৮০টি মৎস্যজীবী ও শ্রমজীবী পরিবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেখানে বসবাস শুরু করে গৃহস্থালীর কাজ করছে। ব্যারাকের অনতিদূরে ভোলানাথপুর সরকারি প্রাইমারি স্কুল থাকায় শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত হয়েছে।

আনুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন জানান, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ভোলানাথপুর আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর শতভাগ কাজের অর্ধেক ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। বালি-মাটি ভরাটের কাজ চলছে। প্রকল্পের অবশিষ্ট কাজ শেষ হতে বাকি ১৮২ টন চাউল। দ্রুত বরাদ্দ পাওয়া জরুরী। ব্যারাকের মধ্যেই প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে বর্তমান সরকারের আরেকটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ কমিউনিটি ক্লিনিক। তিনটি কক্ষ বিশিষ্ট এ ক্লিনিকের কাজ প্রায় শেষের পথে। ব্যারাকে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করছি সময় মত সংযোগ পাওয়া যাবে।

ভরাটের বাকি কাজ শেষ হলে সেখানে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে বাকি ১৬টি ব্যারাকের কাজ শেষ হলে আরো ৮০টি অসহায় গৃহহারা পরিবার নিরাপদ বাসস্থান খুঁজে পাবে। তাই সংশ্লিষ্ট দফতর হতে বরাদ্ধের অবশিষ্ট চাউল দ্রুত অনুমোদন পেতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
সুত্রঃ পরিবর্তন ডটকম।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন