বাংলাদেশ পুলিশের এডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেল (প্রশাসন এন্ড অপারেশন্স) গ্রেড-১ মো. মোখলেসুর রহমান বলেছেন, কোনো পুলিশ সদস্য যদি নিরীহ ব্যক্তির পকেটে মাদক ঢুকিয়ে দিয়ে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করেন,সেই পুলিশের স্থান থানার চেয়ারে নয়, তার স্থান হবে থানার হাজতে।

বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে নগরীর টাউন হলের অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ আয়োজিত ই-ট্রাফিক পুলিশিং এবং মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরোধী কমিউনিটি পুলিশিং সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাদককে দেশের অন্যতম সমস্যা উল্লেখ করে এআইজিপি বলেন, মাদক নির্মূলে শুধু পুলিশের ওপর দায়িত্ব দিলেই হবে না, আওয়ামী লীগের নেতা ও সমাজের নেতৃস্থানীয়দেরও দায়িত্ব আছে।

মোখলেসুর রহমান আরো বলেন, আমরা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো জীব নই। আমরা ইচ্ছা করলেই সমস্ত কিছু করতে পারি না। সবার সহযোগিতা যদি পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই কাঙ্খিত শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে পরিণত করতে পারবো।

তিনি বলেন, আমরা জনবান্ধব, নারীবান্ধব ও শিশুবান্ধব পুলিশ হতে চাই। আমি চাই বাংলাদেশের পুলিশের সদস্যরা সাধারণ মানুষের, প্রান্তিক জনগোষ্ঠি, নির্যাতিত, অবহেলিত ও গরিব মানুষের জন্য পুলিশি ব্যবস্থা যেন কায়েম করে। তবে এজন্য অবশ্যই আমাদের সমাজের মানুষেরও সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।

জেলা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাস উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন।

এর আগে জেলা পুলিশের ই-ট্রাফিক পুলিশিং কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি।

এসময় তাৎক্ষণিকভাবে একটি মোটরসাইকেলকে ই-ট্রাফিকিং-এর আওতায় এনে চালকের মাথায় হেলমেট না থাকায় তার কাছ থেকে জরিমানা আদায় করেন অতিরিক্ত আইজিপি।

এসময় তিনি বলেন, ই-ট্রাফিক পুলিশিং মাধ্যমে ঝামেলা ছাড়াই জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র: বাংলা নিউজ ২৪ ডটকম।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন