মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেছেন, দেশে অতীতের সব নির্বাচনেই প্রশাসন ‘সহযোগিতা’ করেছে, এবারও তাদের অবস্থান ‘স্পষ্ট’।
তিনি বলেছেন, “নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য আমাদের ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতা আছে। সেই ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতাকে আমরা কাজে লাগাব। আমরা নির্বাচনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাব।”
ডিসি সম্মেলন সমানে রেখে রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের অবস্থান তুরে ধরেন সরকারের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হবে আগামী মঙ্গলবার, চলবে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। সংবাদ সম্মেলনে এবারের আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, যিনি এই পদে এসেছেন গত ৩ জানুয়ারি।
মাহবুব হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তার কার্যালয়ের শপলা হলে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। আর ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিভিন্ন কার্য-অধিবেশন হবে।
তিনি বলেন, এ বছর ডিসি সম্মেলনে ২৬টি অধিবেশন হবে। কার্য-অধিবেশন রয়েছে ২০টি।
সরকারের নীতিনির্ধারক এবং জেলা প্রশাসকদের সরাসরি মতবিনিময়ের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিতে প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ডিসি সম্মেলনে আলোচনার জন্য ২৪৫টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। এ বছর সবচেয়ে বেশি ২৩টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে।
এছাড়া ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম জোরদারকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ পুনর্বাসন কার্যক্রম; স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন ও দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় নিয়ে ডিসি সম্মেলনে আলোচনা হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
গত বছর ডিসি সম্মেলনে নেওয়া ২৪২টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ১৭৭টি বাস্তবায়িত হয়েছে আর ৬৬টি প্রস্তাব বাস্তবায়নাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
সম্মেলনে কোনদিন কী
সম্মেলনের প্রথম দিন তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মুক্ত আলোচনা শেষে তার সাথে ছবি তুলবেন ডিসিরা। সেদিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নৈশভোজেও অংশ নেবেন তারা।
ডিসিরা জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করবেন এবং নৈশভোজে অংশ নেবেন।
এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট ভবনে প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের। সম্মেলনের শেষ দিন বঙ্গবভনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষৎ করে ডিসিরা তার নির্দেশনা গ্রহণ করবেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।