প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বুধবার রাতে একথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নুসরাতের মর্মান্তিক মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শেখ হাসিনা নুসরাতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন সাংবাদিকদের জানান, ‘নুসরাত রাত সাড়ে নয়টার দিকে মারা গেছেন।’
গত ৬ এপ্রিল নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই দিন রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
প্রধানমন্ত্রী ১৮ বছর বয়সী নুসরাতের সম্ভাব্য সর্বাত্মক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
সোমবার বিকেলে সামন্তলাল সেন সাংবাদিকদের জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে ডেকেছেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য নুসরাতকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।’ কিন্তু চিকিৎসকরা বলেছেন, নুসরাতকে বিদেশে নেয়ার মতো অবস্থা নেই। কারণ তার দেহের ৮০ শতাংশ ঝলসে গেছে।
নুসরাতের অভিযোগ, ফেনীর সোনাগাজী ইসলামীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা ২৭ মার্চ তাকে যৌন হয়রানি করেন। গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষা দেয়ার জন্য সে মাদরাসায় গেলে একদল মুখোশধারী লোক মাদরাসার ছাদে তাকে ডেকে নিয়ে হত্যার জন্য তার দেহে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ফেনীর পুলিশ বলেছে, অপর একটি মামলায় অধ্যক্ষকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। খুনিদের ধরতে তারা অভিযান চালাচ্ছে।