নোয়াখালীর সূবর্ণচর উপজেলায় গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সোহেলসহ এ পর্যন্ত তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার দুপুরে কুমিল্লা ও লক্ষীপুরে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ইলিয়াছ শরীফ প্রতিবেদক কে জানান, বুধবার দুপুরে কুমিল্লার বরুরা উপজেলার মহেষপুরের একটি ইটভাটা থেকে মামলার প্রধান আসামি সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সূবর্ণচরের মদ্যম বাগ্যা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলা থেকে মামলার তিন নম্বর আসামি স্বপনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। সোমবার মামলার ছয় নম্বর আসামি বাসুকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে মধ্য বাগ্যা গ্রামের আহমদ উল্লার ছেলে।
এদিকে গণধর্ষণের ঘটনা তদন্ত করতে বুধবার দুপুরে মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের একটি কমিটি নোয়াখালী আসে। তারা হাসপাতালে ওই নারীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। কমিটির প্রধান মানবাধিকার কমিশনের পরিচারক আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর জানান, ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য ও ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তাদের তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেবেন।
এসময় আইন ও সালিস কেন্দ্রের তিন সদস্যের অন্য একটি তদন্ত দল হাসপাতালে এবং ঘটনাস্থলে যায়। বিকেলে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) খন্দকর গোলাম ফারুক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত রোববার রাতে চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের সোহেল, হানিফ, স্বপন, চৌধুরী, বেচু, বাসু, আবুল, মোশারেফ ও ছালাউদ্দিন ৪০ বছর বয়সী এক নারীর বসত ঘর ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে তারা ওই নারীর স্বামী ও মেয়েকে বেঁধে রেখে তাকে ঘরের বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ করে ও পিটিয়ে আহত করে। পরদিন ওই নারী ও তার স্বামীকে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ৯ জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।