গত ০৮ আগস্ট ২০২১ খ্রি. শামসুল হুদা নামে একজন ডাক্তার তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক একাউন্টে একটি ভিডিও আপলোড করে একটি বার্তা পোস্ট দেন। বার্তায় তিনি দাবী করেন সাগর নামে এক সন্ত্রাসী তার চেম্বারে এসে পিস্তল ঠেকিয়ে তার কাছ থেকে নগদ ৩৯০০০ টাকা নিয়ে গেছে এবং আরো দুই লক্ষ টাকা প্রস্তুত রাখার জন্য বলে গিয়েছে। চাঁদা না দিলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে গেছে সে। সৌভাগ্যবশত তার চেম্বারটি সিসিটিভির আওতাধীন ছিল। চাঁদাবাজির এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে তিনি তার অসহায়তার কথা ব্যক্ত করে সহযোগিতা কামনা করেন।
একজন সচেতন নাগরিক উক্ত ডাক্তারের সেই পোস্টের লিংকটি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে প্রেরণ করেন। এই বার্তাটি গ্রহণ করেই মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার ওসি সুধীন চন্দ্র দাশকে প্রেরণ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে তাকে আইনের আওতায় আনতে এবং তার অস্ত্রটি উদ্ধার করতে নির্দেশনা দেয়। তিতাস থানার ওসি’র উদ্যোগে তাৎক্ষনিকভাবে থানার একাধিক টিম এ বিষয়ে তৎপর হয়। পাশাপাশি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর মঞ্জুর আলমের নেতৃত্বে একটি টিমও মাঠে নামে। এসআই বিল্লাল হোসেন, এসআই ইমরুল হক, এএসআই সরোয়ার তালুকদার ও এএসআই আরমান মিয়াসহ টিম সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।
অবশেষে অভিযুক্তকে ঢাকা মেট্টোপলিটনের ডেমরা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে, তার দেয়া তথ্য মতে একটি গোপন স্থান থেকে তার ব্যবহৃত অবৈধ পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ এর নির্দেশ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযানে নিয়োজিত দল গুলোর নেতৃত্বে ও সমন্বয়ে ছিলেন মুরাদনগর সার্কেল এর অতি. পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান।