শুধু নৌসেক্টরে নয়, সকল সেক্টরে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। দায়িত্ব নিয়ে সক্ষমতা অনুযায়ি কাজ করতে হবে। একসময় রেল ও আকাশ পথে পরিবহন সংকুচিত করা হয়েছিল। এখন সে অবস্থা নেই। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে সড়ক, রেল ও নৌপথে বিলাসবহুল পরিবহনের মাধ্যমে যাত্রিসেবা দেয়া হচ্ছে। যাত্রির চাপ কমাতে ঢাকার সদরঘাটের টার্মিনাল এলাকা বাড়ানো হবে।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ঢাকার শ্মশানঘাট, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর ও বরিশালে যাত্রি টার্মিনাল নির্মাণের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি বিষয়ক ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ এবং বিশ্বব্যাংক যৌথভাবে এ ওয়ার্কশপের আয়োজন করে।

বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আবদুস সামাদ, বিশ্বব্যাংকের টিম লীডার রাজিন্দার খাজাঞ্চি, লঞ্চ মালিক সমিতির উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু এম.পি এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রি পরিবহন) কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫০ বছর আগের নৌযান নয়; আধুনিক নৌযানের মাধ্যমে যাত্রি পরিবহনে লঞ্চ মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে। মানুষের চাহিদা ও সক্ষমতার দিক বিবেচনা করে অত্যাধুনিক নৌযান নির্মাণ করতে হবে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাচ্ছে, ২০২৪ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ডাবল ডিজিটে চলে যাবে। তিনি বলেন, যাত্রী পরিবহন ও নৌযানের সেবা আরো বাড়াতে চাই। খননের মাধ্যমে নতুন নতুন নৌপথ সৃষ্টি করতে হবে। সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ি ১০,০০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে। নৌপথ খননের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত ড্রেজার সংগ্রহ করা হবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বদ্বীপ’ পরিকল্পনা দিয়েছেন। নদীগুলো সঠিকভাবে ড্রেজিং এর মাধ্যমে শুকনো মৌসুমে পানি ধরে রাখতে হবে। বর্তমান সরকার সামগ্রিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে চায়। বিশ্বায়নের সাথে যুক্ত হয়ে বিশ্বের মানসম্পন্ন জায়গায় যেতে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকীতে নৌপরিবহন সেক্টরে একটা ভাল পরিবর্তন দেশবাসির কাছে দিতে কাজ করছি। নদী থেকে মানুষ সরে গিয়েছিল। বর্তমান সরকার নদীর প্রতি মানুষের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছে। পুরানো নৌপথ উদ্ধারে দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করছি।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন