জনৈক রহিম মিয়ার কাছে ১০ লক্ষ টাকা পাবো।তার দেওয়া চেক ও স্টাম্প রয়েছে আমার কাছে। তার থেকে দেশ স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত (৫ আগষ্ট) ৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেছে রহিম মিয়া।অভিযোগ নিয়ে থানায় যাচ্ছি,ডিবিতে যাচ্ছি কিন্তু পুলিশ কোনো তড়িৎ এ্যাকশন নিচ্ছেনা টাকা আদায়ের।অথচ দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে রহিম মিয়া মাসে মাসে কিস্তি তে টাকা দিত।এখন আর দিতে চাচ্ছেনা।শনিবার সকালে শহরের একটি টি স্টলে বসে এসব কথা বলছিলেন ষাট বছরের বৃদ্ধ জনৈক আকবর আলী।
চায়ের দোকানে আরেক জন বলছে, কুদ্দুস মিয়ার মাছের ঘের কেটে দেছে প্রতিপক্ষ। ঘেরের মাছ চোখের সামনে সব চলে যাচ্ছে ভেসে।থানায় ফোন দিল, ৯৯৯ এ ফোন দিল কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশ আসছেনা।
চায়ের দোকানদার বলছে, কোর্টের আদেশ অমান্য করে আমার জমির মাঝে প্রাচীর নির্মান করছে প্রতিপক্ষ।ত্রিপল নাইনে ফোন দিলাম,থানায় ফোন দিলাম কিন্তু পুলিশ আসছেনা।
প্রবাসীর বৌ চলে গেছে সোনা গহনা নিয়ে। খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা।থানায় গিয়ে জিডি করেছে তবুও বৌ’র কোনো খোজ মিলছেনা।
এক তরুণ যুবক বল্লো,তার দামী মোবাইল হারাই গেছে,বিকাশের টাকা অন্য নাম্বারে চলে গেছে ভূল করে।থানায় জিডি করেছি কিন্তু আগের মত দ্রুত মোবাইল উদ্ধার হচ্ছেনা।
এক সাংবাদিক বল্লেন, জেলার সীমান্ত এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি হচ্ছে।কিন্তু পুলিশ এখন আর অভিযান পরিচালনা করছেনা।
এসব ঘটনা ছাড়াও চুরি-ডাকাতি, ইভটিজিং সহ আরো অনেক অপরাধ আছে যেগুলো ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু গত ৫ আগষ্ট ২০২৪ তারিখে পুলিশের উপরে হামলা,থানায় আগুন দেওয়ার পর থেকে পুলিশ মনোবল হারিয়ে ফেলেছে। ফলে পুলিশ আর আগের মত এক্টিভ নয়।পুলিশ এখন টু জি তে চলছে। কেউ জানেনা পুলিশ ফোর জি তে কবে চলবে।
পুলিশের অভাব এখন জনগণ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।পুলিশ এক্টিভ না থাকলে মানুষের কি ক্ষতি হয় সেটা এখন জনগণ বুঝতে পারছে।পুলিশ ফিরে আসুক নতুন উদ্যোমে,থানা হোক মানুষের আস্থা ও ভরষার স্থান…. সেটাই প্রত্যাশা দেশের সকল মানুষের।