প্রবাদ আছে পুলিশের ডান্ঠায় সবকিছু ঠান্ডা। আর সেই প্রবাদটি এবার বাস্তবে পরিনত করলেন সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিন।

বৃহম্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধা পর্যন্ত সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিনের নেতৃত্বে সাতক্ষীরা থানার ওসি আসাদুজ্জামান, পরিদর্শক অপারেশন বিল্পপ কান্তি মন্ডল, এস আই প্রদীপ সানা,এসআই হাবিব,এসআই হেদায়েত সহ পুলিশ লাইন্সের ২০ সদস্যের সহযোগীতায় ভোমরা এলাকায় মাদকের আখড়ায় ও স্পর্ট সংলগ্ন রোগে অভিযান চালায় পুলিশ। মাদক সেবী সনাক্ত করার জন্য সেখানে সাতক্ষীরার এমও সিএস ডা.জয়ন্ত কুমার কে অভিযানে নেওয়া হয়। অভিযান শেষ ৩৮ জন কে আটক করে তাদের কে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে নিয়ে ডোপটেস্ট করা হয়। ডোপটেস্টে ১৬ জনের পজিটিভ আসে তাদের কে মাদক সেবন করার অপরাধে প্রচলিত আইনে মামলা করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। আর ২২ জনের ডোপটেস্ট নেগেটিভ আসায় তাদের কে স্ব-সন্মানে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি আজ সাতক্ষীরা জেলার সকল লোকাল পত্রিকা সহ সময়টিভি ও সকল অনলাইন পক্রিকায় প্রকাশিত হলে বিষযটি টক অফ দা টাউনে পরিনত হয়। এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম(বার) তাঁর ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল ফেইজবুক আইডির মাধ্যমে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলার তরুণদের মাদকের ছোবল থেকে  বাঁচাতে ও এ মাদক বিরোধী ক্রাস অভিযান অব্যহত থাকবে।

এদিকে গতকালকের সাড়াশি অভিযানের পর শুক্রবার সকাল থেকে দেখা যায় ভোমরা ল্যান্ডপোর্ট ও তার আসেপাসের রাস্তাগুলো একেবারে মানুষ ও যানবাহন শুন্য হয়ে পড়েছে। ভোমরার স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানান শুক্রবার হলেই ভোমরা জাহাাঙ্গীর মার্কেট রোড,ঘোষ পাড়া এলাকায় সহ বিভিন্ন পয়েন্টে খুলনা – সাতক্ষীরা থেকে হিউজ পরিমানে অল্প বয়সী তরুণ-তরুণী রা আসে ফেন্সিডিল খেতে কিন্তু গতকালকের অভিযানের পর থেকে আজ সকাল থেকে দেখছি এখনো কোনো তরুণ মটরসাইকেল নিয়ে ভোমরায় বেড়াতে আসেনি। ভোমরার এ জনপ্রতিনিধি এধরনের আর্কষ্মিক অভিযান পরিচালনা করার জন্য  সাতক্ষীরা সদর সার্কেল ও সাতক্ষীরা থানা পুলিশ কে ধন্যবাদ জানান। 





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন