শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, পুলিশ বাহিনীকে জনগণের বন্ধু ভাবতে হবে। পুলিশ ও জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে সমাজ থেকে জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূল করা সম্ভব। সেবাই পুলিশের ধর্ম।তিনি আজ (শনিবার) সকালে খুলনা বয়রাস্থ মেট্রোপলিটন পুলিশ সম্মেলনকক্ষে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০১৯ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। পুলিশিং ডের এবারের প্রতিপাদ্য ‘পুলিশের সঙ্গে কাজ করি, মাদক-জঙ্গি-সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ি’।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরপেক্ষ, সততা ও স্বচ্ছতার সাথে পুলিশ বাহিনীকে এগিয়ে যেতে হবে। সরকার সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ নিমূূূূূূূূূূূূর্ূূল করে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে। মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান এদেশের দরিদ্র্য এবং অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত পরিকল্পনায় দেশ সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি বিশ্বাস আফজাল হোসেন।খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা পুলিশ টেনিং সেন্টারের কমান্ডেন্ট মোঃ মাসুদুর রহমান ভূইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মাহবুব হাকিম, ব্যার-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ নুরুস সালেহীন ও খুলনার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ইকবাল হোসেন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম হাবিব, মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি ডাঃ একেএম কামরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ সৈয়দ আলী।এর আগে প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে বয়রাস্থ মেট্রোপলিটন পুলিশ চত্ত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।পরে প্রতিমন্ত্রী দৌলতপুর শামীম হোটেলের নবনির্মিত দ্বিতলের উদ্বোধন করেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন