সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ১২০০ ‘শ পিস ইয়াবা, নগদ ৩৮ হাজার টাকা ও পাঁচটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে।
এ সময় আটক করা হয়েছে পাঁচজন কারবারীকে। বৃহষ্পতিবার রাতে উপজেলা সদরের সাদপুর ও নাজিমগঞ্জ বাজার সংলগ্ন শীতলপুর এলাকায় এসব উদ্ধার ও আটকের ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন, যশোর জেলার শার্শা উপজেলার ট্যাংরা জামতলা গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে মাদক কারবারী ইমরান হোসেন (২৬), এই উপজেলার গিলাপুর গ্রামের মোস্তফা কায়ুমের ছেলে জাহিদ পারভেজ (৪০), কালিগঞ্জ উপজেলার শীতলপুর গ্রামের মৃত শহীদ হোসেনের ছেলে মনিরুজ্জামান মনি ওরফে পুটে (৪৮), তার বাড়ির ভাড়াটিয়া একই উপজেলার মৌতলা গ্রামের মৃত মশিউর রহমানের ছেলে রাফায়েত আলী রফু (৪৭) ও তার ছেলে ঈশান (১৯)।
কালিগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, ইয়াবার একটি বড় চালান নিয়ে যশোরের কয়েকজন মাদক কারবারী উপজেলা সদরের সাদপুরের একটি বাড়িতে অবস্থান করছেন এমন সংবাদের ভত্তিতে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম-বার এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক দেবহাটা সার্কেলের সিনিয়র এএসপি ইয়াছিন আলীর তত্বাবধানে কালিগজ্ঞ থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অভিযান চালায়।
ইন্সপেক্টর তদন্ত মিজান জানান, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই স্কুলের সামনে থেকে ইমরান ও কায়ুমকে আটক করা হয়। এসময় তাদের দেহ তল্লাশি করে ১৮০ পিস ইয়াবা ও দু’টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান,পরে গোপন খবরের ভিত্তিতে বৃহষ্পতিবার রাত সোয়া নয়টার দিকে তার নেতৃত্বে পুলিশ নাজিমগঞ্জ বাজার সংলগ্ন শীতলপুর গ্রামের কুখ্যাত মাদক কারবারী মনিরুজ্জামান মনি ওরফে পুটের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় গৃহকর্তা পুটে ও তার ভাড়াটিয়া রাফায়েতের বাসা থেকে এক হাজার ২০ পিস ইয়াবা, নগদ ৩৮ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আটক করা হয় পুটে, রাফায়েত ও তার ছেলে ঈশানকে।
কালিগজ্ঞ থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেন জানান, এসব ঘটনায় সহকারি উপ-পরিদর্শক শেখ জামাল হোসেন ও তরুণ কুমার অধিকারী বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ (১) টেবিলের ১০ (ক) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২৪ ও ২৫ নং পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছেন।
আটককৃতদের শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।