ঢাকার কেরানীগঞ্জে পুলিশের ডিআইজির আর্থিক অনুদানে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে এক দরিদ্র অসহায় মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনুটিয়া চৌরাস্তা এলাকায় লাবনী রেস্টুরেন্টে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়। কনের বাবা তোফাজ্জল হোসেন জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ডিআইজি (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান সম্প্রতি সাভারের বেদে সম্প্রদায়ের অনেক অসহায় লোকের মেয়েদের আর্থিক অনুদান দিয়ে তার তত্ত্বাবধানে বিয়ে দিয়েছেন। এই সংবাদে তিনি কিছুটা অনুপ্রাণিত হয়ে ডিআইজি হাবিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাত্ করেন এবং তার মেয়ের বিয়ের বিষয়ে নিজের আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন। এতে হাবিবুর রহমান সদয় হয়ে তার মেয়ের বিয়ের সম্পূর্ণ খরচ বহন করতে রাজি হন । তার আশ্বাসে দোহারের করিমগঞ্জ গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে মোঃ মোহসীনের সাথে মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। তার আর্থিক অনুদানেই লাবনী রেস্টুরেন্টে বিয়ের সমস্ত আয়োজন করা হয়। দুপুর ২টায় বর পক্ষের লোকজন আসলে ডিআইজি হাবিবুর রহমান পরিচালিত উত্তরণ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাগণ তাদের ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে অভ্যর্থনা জানান। বিয়ের খাবারের পর কাজী ডেকে ২ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিবাহ রেজিস্ট্রির মাধ্যমে কনে নুরজাহান আক্তার স্বর্ণালীকে বর মোঃ মোহসীনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উত্তরণ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল শায়ক, কো-অর্ডিনেটর এসএম মাহবুব হাসান, যমুনা ব্যাংকের হেড অফ মার্কেটিং নুরন্নবী খান, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাখের মোহাম্মদ যুবায়ের। কনের বাবা তোফাজ্জল হোসেন জানান, তিনি এবং মেয়ের জামাই উভয়ই বেদে সম্প্রদায়ের লোক। বর্তমানে তিনি পেশা পরিবর্তন করে ইলেট্রিক মিস্ত্রির কাজ করেন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার খড়িয়া গ্রামে। বর মোঃ মোহসীন কসমেটিক জিনিসপত্র ফেরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। তার দুই মেয়ের মধ্যে স্বর্ণালী বড়। স্বর্ণালী রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ২য় বর্ষের ছাত্রী।
সূত্রঃ দৈণিক ইনকিলাব





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন