প্রতিবছর দায়িত্বপালনরত অবস্থায় পুলিশ সদস্যদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

রোববার (১ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২০’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

প্রতিবছর কর্মস্থলে নিহতদের স্মরণে ১ মার্চ পুলিশ মেমোরিয়াল ডে আয়োজিত হয়।.আইজিপি বলেন, যেকোনোও দুর্যোগে বাংলাদেশ পুলিশ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বপালন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখতে জঙ্গি-সন্ত্রাস-মাদকমুক্ত করে গড়ে তুলতে পুলিশ সদা নিয়োজিত রয়েছে। প্রতিটি সদস্য পরম মমতায় তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ১৯৭১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জাতির প্রতিটি ক্রান্তিকালে অনেক পুলিশ সদস্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।

প্রতিবছর দায়িত্বপালনরত অবস্থায় আমাদের মৃত্যু বরণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছর আমরা ৫৫০ জন পুলিশ সদস্যকে হারিয়েছি, যাদের মধ্যে ১৭৯ জন কর্তব্যরত অবস্থায় মারা গেছেন। দেশের জন্য তাদের এই সর্বোচ্চ ত্যাগ পুলিশ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণে করবে। তাদের অসহায় পরিবার সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশ সবসময়ই পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, গত এক বছরে দায়িত্বরত অবস্থায় আমরা ১৭৯ জন সহকর্মীকে হারিয়েছি। প্রতিটি মৃত্যুই অনাকাঙ্ক্ষিত। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী অনেক বড় হয়েছে। একইসঙ্গে এখন এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কমিয়ে আনতে হবে।

পুলিশের এ অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর মিছিলকে কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহেণর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এর অন্যতম কারণ পুলিশের কাজের পরিবেশ ও জীবনযাত্রার ধরণ। এসবের মান উন্নত করতে কার্যকর প্রয়াস জরুরি হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়েই আমরা এ পেশায় আছি। দেশের যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশের প্রতিটি সদস্য সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। কিন্তু আমরা অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু চাই না। সমস্যাগুলো সমন্বিতভাবে সমাধান করতে পারলে মৃত্যুর সংখ্যা সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, একদিকে পুলিশ সদস্যদের মৃত্যুর মিছিল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে অন্যদিকে সমাজে বিপর্যস্ত পরিবারের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটিকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। দেশকে আমরা নিশ্চিত করতে চাই, যেকোনো প্রয়োজনে আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য প্রস্তুত।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন