একজন মা হচ্ছে সন্তানের প্রথম শিক্ষক আর শিক্ষক হলেন দ্বিতীয় মা। প্রত্যেক শিক্ষকের তাঁর বিদ্যালয় নিয়ে স্বপ্ন থাকতে হবে। মানসম্মত ও অন্তর্ভূক্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে দেশের ৯৮ শতাংশ শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থী ঝরেপড়ার হার ১৭.৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। দেশের প্রাথমিক স্তরের তিন লাখ ৮১ হাজার শিক্ষক হতে সচিব পর্যন্ত সবার প্রচেষ্টায় নিশ্চিত হবে মানসম্মত শিক্ষা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মোঃ আকরাম-আল-হোসেন আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে খুলনা নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ অডিটরিয়ামে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে জেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অংশগ্রহণে সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শিশুদের স্কুলভীতি দূর করা ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে নতুন শিক্ষাক্রমে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতি থাকবে না। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের শতভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড-ডে মিলের আওতায় আসবে। শিশুদের গণিতভীতি দূর করতে দেশব্যাপী গণিত অলিম্পিয়াড শুরু হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক মেহেরুন নেছা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ এস এম সিরাজুদ্দোহা ও খুলনা নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন এম কামাল নাসের উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মোঃ আকরাম-আল-হোসেন খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের বিভাগীয় পর্যায়ের খেলার উদ্বোধন করেন। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব নগরীর নজরুল নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন এবং চাইল্ড ইন্টিগ্রিটি ও শিশু বঙ্গবন্ধু ফোরামের কার্যক্রম আনুষ্ঠিকভাবে উদ্বোধন করেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন