মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অসংখ্য ঘাত-প্রতিঘাত ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ গঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করা সত্যিই বিরল ও অনন্য। সেই কাজটিই করেছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। দেশ ও জনগণের কল্যাণই যার প্রধান লক্ষ্য। তিনি লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়েছেন।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি রচিত ‘বিশ্বে বিরল অনন্য শেখ হাসিনা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার আনুষ্ঠানিকভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির লেখা ‘বিশ্বে বিরল অনন্য শেখ হাসিনা’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
সংসদ সদস্য এ বি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বইয়ের লেখক সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কবি ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম প্রমূখ।
বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে গ্রন্থ রচনা একটি দুঃসাহসিক অভিযান। সেই কাজটি করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। তাঁর লেখা ‘’বিশ্বে বিরল অনন্য শেখ হাসিনা’ গ্রন্থটিতে প্রধানমন্ত্রীর বাল্যকাল থেকে অদ্যবধি জীবনের বিভিন্ন পর্যায়গুলো সন্নিবেশিত হয়েছে। গ্রন্থটি পাঠের মাধ্যমে পাঠক অনুধাবন করতে পারবেন শেখ হাসিনা সত্যিই বিরল ও অনন্য। বাংলা ও ইংরেজি দু’টি ভাষায় বইটি প্রকাশিত হচ্ছে, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাঠকদের জন্য যুগোপযোগী।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনকে ধারণ করে তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের যে লক্ষ্য নিয়ে জাতির পিতা সংগ্রাম করেছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় বাবার অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলার মানুষ ও উন্নয়ন নিয়ে তাঁর দর্শন ও গণতন্ত্রের প্রতি একনিষ্ঠতাসহ অন্যান্য বিষয়গুলো সবকিছুকে ছাপিয়ে যায়। একদিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলার পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তাঁর পিতার দেখানো পথে এগোচ্ছেন, অন্যদিকে এগারো লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে তিনি মানবতার মা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া কর্মসূচী তুলে ধরে স্পিকার বলেন, ভূমিহীন-গৃহহীনদের জন্য নয় লক্ষ ঘর তৈরির পরিকল্পনা তিনি বাস্তবায়ন করছেন। অর্থনৈতিক পরিকল্পনাগুলো যেন সকল মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে সে লক্ষ্যে তিনি কাজ করছেন। পারিবারিক জীবনে একজন মা হিসেবে সন্তান গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও তিনি সফল। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে উন্নয়নশীল দেশের পথে এগিয়ে নেওয়া, ২০৪১ সালের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়নের সুদূরপ্রসারী চিন্তা তাঁর মতো দক্ষ প্রশাসকের পক্ষেই সম্ভব বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এদেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালবাসেন। ১৫আগস্টের কালরাত্রিতে স্বজন হারানোর ব্যথা নিয়ে আজ অবধি এদেশের মানুষের ভোট-ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি লড়াই করেছেন।
সব হারানোর ব্যাথা নিয়ে তিনি দেশ পরিচালনায় নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা দেশে চারবার প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হন। তাঁর নেতৃত্বে পদ্মাসেতু নির্মাণ, সমুদ্রসীমা জয়, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, খাল ও নদী খনন, কর্ণফুলি টানেল নির্মাণসহ অসংখ্য কাজে দেশের সক্ষমতা এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।