আসাফুর রহমান কাজল:
একটি প্রতিবন্ধী শিশুর কষ্টের কথা ও ভালবাসার আবেদন’ শিরোনামে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানায় খুলনার সুবর্ণ নাগরিক শাওন দাস। তার আবেদনে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার পড়াশুনা আরও বেগবান করতে প্রধানমন্ত্রীর আদেশে খুলনা জেলা প্রশাসন তাকে দিয়েছে একটি ল্যাপটপ এবং তার চাহিত সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসার সার্বিক আশ্বাস দেয় জেলা প্রশাসন।
শাওন দাস বর্তমানে খুলনা জিলা স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা শান্তি রঞ্জন দাস খুলনার একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা। চলতি বছরের জুন মাসে সে তার মনের কষ্টের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানায়। এ আবেদনের মাধ্যমে সে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে সকল প্রতিবন্ধীদের প্রতি ভালবাসা এবং সহযোগিতার আবেদনসহ ১০টি সমস্যার কথা জানিয়ে আবেদন করে। ১০টি সমস্যার মধ্যে গণিত পরীক্ষায় প্রতিবন্ধীদের জন্য সৃজনশীল প্রশ্ন পরিবর্তন করে টেক্সবুক থেকে প্রশ্ন করা, প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক স্কুল বা কলেজ প্রতিষ্ঠা করা, আলাদা পাঠ্যক্রমের ব্যবস্থা করা, বোর্ডে আলাদাভাবে তাদের খাতা মূল্যায়ন করা, প্রতিবন্ধীদের যাতায়াত করার জন্য যানবাহনের সুযোগ সৃষ্টি করা, প্রতিবন্ধীদের জন্য কয়েকটি কম্পিউটার এবং খুলনা জিলা স্কুলের কয়েকটি সমস্যা এবং তার উন্নয়ন।
খুলনার সেই সুবর্ণ নাগরিক শাওন দাস জানায়, আমি অনেক খুশি। প্রধানমন্ত্রী আমার মতো একজন ছাত্রের কথাকে মূল্যায়ন করেছে। তার আদেশে খুলনা জেলাপ্রশাসক গত ২৯ অক্টোবর আমাকে সুন্দর একটি ল্যাপটপ দিয়েছে। আমি যে সমস্যার কথা বলেছিলাম, তিনি পর্যায়ক্রমে তার সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন।
শাওন দাসের বাবা শান্তি রঞ্জন দাস জানান, এর আগে শাওন খুলনার ২৪ ও ২৭নং ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী বাগমারা সড়কের (বাগমারা প্রধান সড়ক) জরাজীর্ণের কথা ফোনে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জানায়। পরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে খোঁজ নিয়ে সেই সড়ক আরসিসি ঢালাই করে দিয়েছে।
খুলনা জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, শাওন দাস যথেষ্ট ব্রিলিয়ান্ট। সে পড়াশুনা যাতে আরওভাবে করতে পারে সেজন্য তাকে একটি ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে। সে জিলা স্কুলের যে সমস্যার কথা বলেছে তা আমি সরেজমিন দেখেছি। আমি তার সাফল্য কামনা করছি।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন