প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাপান-সৌদি সফরে সঙ্গী হচ্ছেন দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক, এফবিসিসিআই পরিচালক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির ধর্ম এবং শিল্প-বাণিজ্য উপ কমিটির সদস্য ড. কাজী এরতেজা হাসান।

প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ ব্রুনাই সফরেও কাজী এরতেজা হাসান সফরসঙ্গী ছিলেন।

অ্যাঞ্জেল কম্পোজিট ইন্ড্রাস্টির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, শিল্পপতি ড. কাজী এরতেজা হাসান এর আগে সুইডেন, কম্বোডিয়া, ভারত, সিঙ্গাপুর ও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিতে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছেন।

আগামী ২৮ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান ও সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন। প্রথমে জাপান ও পরে সৌদি আরব সফর করবেন তিনি।

২৯ মে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে। এ বৈঠকে বাংলাদেশকে জাপানের ২২০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দেয়ার বিষয়ে একটি চুক্তি সই হতে পারে।

এ ছাড়া টোকিওতে ৩০ ও ৩১ মে অনুষ্ঠিতব্য দুদিনব্যাপী ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।

জাপান সফর শেষে ৩০ মে সৌদি আরব রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ৩১ মে অনুষ্ঠিতব্য ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। সৌদি সফরে ওমরাহ পালন করবেন তিনি।

বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশ মানেই শেখ হাসিনা। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের মডেল। শেখ হাসিনার উন্নয়নের মডেল অনুসরণ করেই ভারতে বিজেপির নরেন্দ্র মোদির বিজয় মনে করিয়ে দিচ্ছে, জনগণের জন্য ভালো কাজ করলে জনগণ তার প্রতিদান ভোটের মাধ্যমেই দেবে। সারা পৃথিবীতেই শেখ হাসিনা একজন রোল মডেল হিসাবে নিজেকে আপন মহিমায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

আন্তজার্তিক সম্প্রদায়ের কাছে তিনি মাদার অব হিউম্যানিটি থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ৩৬টি পুরষ্কার বা সম্মানায় ভূষিত হয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা হিসাবে তিনি যখনই রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন বর্হিবিশ্বের সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়; নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে বাংলাদেশকে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের কাছেই বন্ধু রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি এক বিশাল অর্জন।

আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক সন্তান হিসাবে আবারো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হন ড. কাজী এরতেজা হাসান।

এর ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনা প্রশ্নে আপোসহীন ড. কাজী এরতেজা হাসানের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ স্নেহের বিষয়টি প্রকাশ পায়।

ড. এরতেজা হাসানই বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস বইয়ে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার পর হাইকোর্টে মামলা করে দেন। সেই মামলার ঐতিহাসিক রায় শুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন সফর প্রসঙ্গে ড. কাজী এরতেজা হাসান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হতে পারা পরম সৌভাগ্যের বিষয়। আমি নিজেকে ধন্য মনে করি, বারবার তিনি আমাকে এই সুযোগটি দিচ্ছেন। বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি তার প্রতি। ভূপৃষ্ঠ হাজার হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ন্ত বিমানে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখেছি, নামাজের সময় কিবলা, কম্পাস দিয়ে পশ্চিম দিক নির্ধারণ করে নামাজ আদায় করেন; তখন সত্যিই হৃদয়ের গহীনে আত্নিক একটা শান্তি খুঁজে পাই। কারণ ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা নেত্রীকে দেখেছি খুব কাছ থেকে। দুই বছর আগের কথা বলতে গিয়ে ড. কাজী এরতেজা হাসান বলেন, ২০১৭ সালের এমনি এক রমজানের সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে সুইডেনে যাচ্ছিলাম। দীর্ঘ ২১ ঘন্টার রোজা রেখেছিলেন তিনি। এরপর ২০১৮ সালে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দেয়ার সময় দেখেছি দুবাই থেকে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত দীর্ঘ ভ্রমণে তিনি সময় মতো নামাজ আদায় করেছেন। তার হাতে দুরুদ শরীফ আর তসবিহ দেখে সত্যিই মনটা ভরে গিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এত কাছ থেকে তার ইসলামের প্রতি অনুরাগ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তাকে নিয়ে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার ধর্মচিন্তা’ বইটি ২০১৯ সালে এসে লিখেছি। শুধুমাত্র জনগণের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ধর্ম নিয়ে ভাবনাগুলো জানানোর তাগিদ থেকেই এটা করেছি। কোনো কিছু পাওয়ার আশায় নয়। কারণ মন থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করি বলেই সেই শক্তিশালী আত্নিক বিশ্বাসের জায়গা থেকেই লিখেছি।

ড. কাজী এরতেজা হাসান আরো বলেন, যতবারই প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসাবে রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়েছি ততবারই মুগ্ধ হয়ে খুব কাছ থেকে দেখতে পেয়েছি, একজন প্রধানমন্ত্রী কতটা সাধারণে অসাধারণ হতে পারেন। তার মেধা, প্রজ্ঞা, দুরদর্শিতা,

সততা, সাহসিতকতা এবং নেতৃত্বগুণ দেখে আমি একজন আত্নিক শিষ্য হিসাবে শিখছি।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন