যিনি পারেন তিনি সব খানেই পারেন। তালা থানার মত সাতক্ষীরা থানায় যোগদানের পর অল্প কিছু দিনের ভিতরে প্রশংসা অর্জন করে চলেছেন সাতক্ষীরা থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান।গত মাসের ২৮ অক্টোবর ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তিনি সাতক্ষীরা থানায় যোগদান করেন।যোগদান করার পরের দিন তিনি থানার সকল অফিসার ও ফোর্স দের রোল কলে ডেকে সকলের সহিত পরিচয়পর্ব সম্পন্ন করেন এবং অফিসার ও ফোর্স দের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
মিডিয়াবান্ধব ওসি জিহাদ খান: যোগদানের ২য় দিনের মাথায় তিনি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের এক অংশের সাংবাদিক দের সাথে মতবিনিময় করেন।পরের দিন নবাগত ওসি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ২য় অংশের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন।মতবিনিময় শেষে নবাগত ওসি প্রেসক্লাবের দুইটি প্যালেনের সাংবাদিক দের তিনি থানা প্রাঙ্গণে নৌশভোজ করান।সাংবাদিক রা নবাগতি ওসি জিহাদ খানের অতিথিপরায়ণতা ও আন্তরিকতা দেখে মুদ্ধ হন।
এবার আসি থানার কার্যাক্রম কেমন চলছে : নবাগত ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান সাতক্ষীরা থানায় যোগদানের পর থেকে পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সজীব খান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মীর আসাদুজ্জামানের তত্বাবধানে সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন সহ পৌরসভায় এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছেন।উক্ত বিশেষ অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সদর ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খানের নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মিজানুর রহমান,ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আবু তারিক বিন আজিজ সহ থানার সকল এসআই – এএসআই ও সঙ্গীয় কনস্টেবল গণ।
অপরাধ দমনে নবাগত ওসি জিহাদ খান: কয়েক দিনের বিশেষ অভিযানে ভোমরা- বাঁশদহা-বৈকারী, ইটাগাছা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে যথাক্রমে ফেন্সিডিল, গাঁজা,ইয়াবা সহ নিয়মিত মামলা ও বিঞ্জ আদালতের ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামী গ্রেপ্তার হয়েছে।বিশেষ অভিযানে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছে সদর থানা পুলিশ। এতে নিরিহ কোন মানুষ হয়রানীর শিখার হচ্ছেনা।রাতে চেকপোস্ট ডিউটি জোরদার করা হয়েছে।স্টান্ড বাই টিম দিনে কাজ করছে। শহরের স্বর্ণপটি গুলো নজরদারিতে রাখা হয়েছে।তাছাড়া রুটিন ওয়ার্ক হিসাবে বাঁকালে চেকপোস্ট – বিনেরপোতা ও লাবসার মোড়ে গভীর রাতে পুলিশের তৎপরতা অব্যহত আছে।
জনবান্ধব ওসি হিসাবে কেমন জিহাদ খান: থানাকে সেবাকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে ওসি জিহাদ খানের প্রথম ঘোষণা হলো আমার দরজা সকলের জন্য খোলা।ওসির রুমে যে কেউ এখন একা একা যেতে পারেন।ওসির কাছে যেতে এখন কোন দালাল ধরতে হয়না।থানায় সেবা নিতে আসা মানুষদের সহিত ওসি জিহাদ খান হাসি মুখে কথা বলেন। অভিযোগকারীর কথা গুলো ধৈয্য ধরে শোনেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট এলাকার বিট অফিসার কে সাথে সাথে নির্দেশ দেন।এতে করে থানায় সেবা নিতে আসা মানুষ গুলো কাঙ্খিত সেবা নিয়ে খুশি মনে বাড়ি ফিরছেন।
বিনামূল্যে সেবা দিচ্ছেন নবাগত ওসি জিহাদ খান : পুলিশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারনা করতে নবাগত ওসি জিহাদ খান পাল্টে ফেলেছেন থানার চিত্র। থানায় গিয়ে এখন জিডি করতে টাকা লাগেনা। শুধু জিডি বলে কথা নয়, থানায় মামলা করতে ও কোন টাকা লাগে না বলে একাধিক সেবাগ্রহীতা রা জানান এ প্রতিবেদক কে।
নান্দনিক থানা গড়ার প্রত্যয়ে ওসি জিহাদ খান: নবাগত ওসি জিহাদ খান সদর থানায় যোগদানের পর থেকে পুরো থানার কম্পাউন্ড কে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রেখেছেন। থানা কম্পাউন্ডে বিভিন্ন ফুলের গাছ ও শীতকালীন সবজির গাছ রোপণ করেছেন।থানায় জনসাধারণের ও ফোর্সদের গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা করেছেন।
পরিশেষে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে দেখা যায় সাতক্ষীরা থানার নবাগত ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান যোগদানের পর থেকে খানার অফিসার ও ফোর্সদের কাজের গতিবেগ তরান্বিত হয়েছে।তারা উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করছেন।থানায় সেবা নিতে আসা প্রত্যেকটি মানুষের সাথে সেন্ট্রির দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল ও ডিউটি অফিসার হাসিমুখে কথা বলে পুলিশি সেবা নিশ্চিত করছে।