নিজের দক্ষতা, মেধা ও বুদ্ধিমর্তাকে কাজে লাগিয়ে প্রশংসা অর্জন করে চলেছেন সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজ।গত ৮ জুন /২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম স্বাক্ষরিত এক অফিসে তিনি সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের ওসি হিসাবে যোগদান করেন।
যোগদান করেছেন মাত্র ১ মাস ৬ দিন হলো। মাত্র ১ মাস ৬ দিনে ডিবির নতুন ওসি জেলা বাসীকে চমক লাগিয়ে দিয়েছেন তার সদালাপী ও হাস্যজ্জল আচরণের মাধ্যমে।সাতক্ষীরা সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) পদে থেকে যেমন মানুষের সাথে হাসিমুখে কথা বলতেন, ওসি ডিবি হিসাবেও তিনি ঠিক একই রকম আচরণ করছেন।ওসি ডিবির চেয়ার পেয়ে কোন রকম অহংকার আসেনি তার মধ্যে।নবাগত ডিবির ওসি যোগদানের পর সর্বপ্রথম কলারোয়ার ভাদলীর কুক্ষাত মাদক ব্যবসায়ী আজহারুল কে আটক করেছেন।বড় বড় মহলের তদবীর থাকা সত্বেও ডিবির ওসি মাদক ব্যবসায়ী আজহারুল কে ছেড়ে না দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।ওসি ডিবি প্রমাণ করে দিয়েছেন আইন সবার জন্য সমান।তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজ যোগদান করার পর থেকে দফায় দাফায় তার নেতৃত্বে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমানে ইয়াবা -গাঁজা ও ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছেন। আটক করেছেন বেশ কিছু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের।এতে করে স্বস্তি ফিরেছে সীমান্ত এলাকায়।
তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজ যোগদানের পর থেকে শহরে উঠতি বয়সি কিশোর গ্যাং দের দৌরত্ব কমেছে।রাত বারোটার পরে তিনি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল দেন এবং ছদ্মবেশে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি মনিটরিং করেন তিনি। তারেক আজিজ যোগদানের পর থেকে রাত ১২ টার পরে আর শহরের কোন চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দেখা যায় না।এমন কি বাঁকাল পাইপাসের মিনি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট গুলোতে আর গভীর রাত পর্যন্ত ছেলে-মেয়েদের আড্ডা দিতে দেখা যায় না।ডিবির নতুন ওসি তৎপরতায় শহরে আর ইজিবাইক চুরি হচ্ছেনা, অজ্ঞান পাটি ও মলম পাটির সদস্যদের ও দেখা মিলছেনা।
প্রতি শুক্রবার সবাই যখন জুম্মার নামাজ আদায় করতে যায় তখন ডিবির ওসি তারেক আজিজ কে দেখা যায় ডিবির অফিসার ও ফোর্স নিয়ে মোড়ে মোড়ে দাড়িয়ে আছে।প্রশ্ন করলে ডিবি পুলিশ জানায়,চরমোনাই পীর সমার্থক দের বিক্ষোভ মিছিল আছে নামাজের পরে। কোন রকম বিশৃঙ্খলা যেনো না ঘটে সেজন্য আমরা মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি।
অপরাধ দমনের পাশাপাশি তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজ অনেক মানবিক কাজ ও করে থাকেন।কোন নিরিহ মানুষের প্রতি অত্যাচার হলে ওসি ডিবি তারেক আজিজ সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক ঐ নিরিহ মানুষের প্রাপ্য অধিকার আদায় করে দেন।সব মিলিয়ে সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ এখন মানুষের আস্থার জায়গা হয়ে দাড়িয়েছে।ডিবির প্রত্যেক টি অফিসার ও ফোর্স তাদের নবাগত অভিভাবক কে পেয়ে আনন্দিত।