নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম বলেছেন, ইভিএম পদ্ধতিতে প্রিজাইডিং অফিসারের দক্ষতা ও সততা ভোট গ্রহন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নের উর্দ্ধে রাখবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা, জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করবেন। ভোটের দিন শুধুমাত্র প্রিজাইডিং অফিসারই ভোট গ্রহনের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকবে। তাই প্রিজাইডিং অফিসারকে অবশ্যই আইনের মধ্যে থেকে সব ধরণের অনুরোধ ও প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করতে হবে। এর ব্যাত্যয় ঘটলে নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
বুধবার বিকেলে বাগেরহাট শহরের খানজাহান আলী কলেজ মিলনায়তনে ৫ম ধাপের উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে ইভিএম বিষয়ে ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের দ্বিতীয় ধাপের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এ ভোট গ্রহন অনেক সহজ। ভোট গ্রহন কর্মকর্তা যদি ইভিএম সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখেন তাহলে সহজে ভোট গ্রহন ও গননা সম্পন্ন করতে পারবেন। যা ম্যানুয়াল পদ্ধতির থেকে অনেক সহজ হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ইউনুছ আলী, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরাজী বেনজির আহমেদ প্রমুখ।
দ্বিতীয় ধাপের প্রশিক্ষণে জেলার ১ হাজার ৮‘শ ২৫ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।