নির্বাচনে কোনও প্রার্থীর এজেন্টদের হয়রানি করা কাম্য নয়। এজেন্টকে ভোটকেন্দ্র ছাড়তে বাধ্য করা যাবে না। এমন কোনও ঘটনা ঘটলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফৌজদারি মামলা না থাকলে এজেন্টদের গ্রেপ্তার করা যাবে না। বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
আজ (শনিবার) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনের সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, অনেক প্রার্থীর এজেন্টকে হয়রানি করা হচ্ছে। কিন্তু এজেন্টদের হয়রানি কাম্য নয়। ফৌজদারী অভিযোগ না থাকলে পুলিশ কাউকে হয়রানি করবে না। পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে হবে। কারণ, এজেন্টরা প্রার্থীর প্রতিনিধি। তারা প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে।
তিনি বলেন, কোনো প্রার্থী যেন ন্যায় অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, নির্বাচনী আচরণ বিধি যেন না লঙ্ঘন না হয় এবং প্রতিযোগিতা যেন সহিংসতায় পরিণত না হয়। তবু নির্বাচনে সহিংসতা হয়েছে, জানমালের ক্ষতি হয়েছে, এগুলো কাম্য ছিল না। নিরপেক্ষ তদন্ত করে সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিচ্ছি।
ভোটার, প্রার্থী ও সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে কেএম নূরুল হুদা বলেন, আপনারা আচরণবিধি মেনে চলুন, সহিংসতা পরিহার করুন। প্রতিযোগিতামূলক পরিবশে বজায় রাখতে সহায়তা করুন। প্রলোভন, প্রভাবের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।
তিনি বলেন, কর্মকর্তা, পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবাই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। রিটার্নিং অফিসার ৭টার মধ্যে পরিচালনার কাজ শুরু করবেন। তিনি ব্যালট বাক্স খুলে সকলের উপস্থিতিতে সকলকে ব্যালট বাক্স খালি কিনা দেখাবেন। এরপর ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু করবেন। ভোটগ্রহণ শেষ হলে এজেন্ট, সাংবাদিকদের সামনে ভোট গণনার কাজ শুরু করবেন। কেন্দ্রের বাইরে করা যাবে না। ফলাফলের তালিকা এজেন্টদের সরবরাহ করতে হবে। কেউ অবৈধভাবে ভোটকক্ষ ত্যাগ করতে বললে ম্যাজিস্ট্রেট বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে।
সিইসি আরও বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে। বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে যেকোনও ধরনের সহিংসতা বা নাশকতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আমি নির্দেশ দিচ্ছি। কোনও বাহিনীর সদস্যদের নিষ্ক্রিয়তা বা নির্লিপ্ততার কারণে অনিয়ম বা সহিংস কোনও ঘটনা ঘটলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, বেশকিছু সহিংসতা এরই মধ্যে ঘটে গেছে, যেগুলো কাম্য ছিল না। সহিংসতার কারণে যেখানে ফৌজদারি অপরাধ গঠিত হয়েছে, সেখানে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদেরকে বিচারের সামনে হাজির করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি।
পাশাপাশি দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে নির্ভয়ে সবাইকে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।
নির্বাচনী প্রতিযোগিতা যেন সহিংসতায় রূপ না নেয় সেজন্য অংশগ্রহণকারী দল ও প্রার্থীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান সিইসি।
সিইসি বলেন, মিছিল, সমাবেশ, পথসভা, লংমার্চ, লিফলেট বিতরণ, পোস্টার টানানো, জনসংযোগ, ঘরে ঘরে গমণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের প্রতিযোগিতামূলক আবহ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে এরইমধ্যে নির্বাচনী সামগ্রী সব জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌঁছে গেছে। আজ রাতের মধ্যে সব কেন্দ্রে এসব মালামাল পৌঁছে যাবে।
কে এম নুরুল হুদা বলেন, ১০ কোটি ৪২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৬৭৩ জন ভোটারের জন্য ৪০ হাজার ১৮৩টি নির্বাচনী কেন্দ্র এবং ২ লক্ষ ৬ হাজার ৭৬৭টি বুথ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সূত্র:Rtv Onlinenews.





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন