বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অভিযানে একটি ৭.৬৫ বিদেশি পিস্তল, একটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড ৭.৬৫ পিস্তলের গুলি, একটি দেশি তৈরি ওয়ান শুটার গান, দুইটি কার্তুজ, তিনটি অত্যাধুনিক বার্মিজ চাকু, একটি চাপাতি, এক কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য (পটাশিয়াম ক্লোরেট), দুইটি লাল টেপ, চারটি ব্যাটারি, কিছু পরিমাণ তারসহ নব্য জেএমবি’র চার সদস্যকে আটক হয়েছে।

উক্ত জঙ্গিরা নাশকতার উদ্দ্যেশ্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার চণ্ডিহারা এলাকার একটি স্থানে সমবেত হতে যাচ্ছে এমন নিখুঁত গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটা চৌকস টিম ৭ নভেম্বর রাত ১.৪৫ ঘটিকার দিকে বগুড়া রংপুর মহাসড়কের চণ্ডিহারা এলাকায় অভিযান চালায়। উক্ত অভিজানে উল্লিখিত অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ ঐ চারজনকে আটক করা হয়।

আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন –
১. মোঃ তানভীর আহম্মেদ @ আবু ইব্রাহিম (২৫), নব্য জেএমবি’র আইটি শাখার সদস্য। সে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি বিভাগের ছাত্র। এ বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে আশুলিয়াতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জঙ্গি পুস্তক, ইলেকট্রনিক ও ড্রোন তৈরির সরঞ্জামসহ তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সে ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার সে একজন পলাতক আসামি। সে ড্রোন তৈরির মাধ্যমে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলে জানা যায়।

২. মোঃ জাকারিয়া জামিল (৩১), নব্য জেএমবি’র মিডিয়া শাখার প্রধান। সে জঙ্গি সংক্রান্তে অন লাইনে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রকাশনাগুলোকে আরবি থেকে বাংলায় অনুবাদ করে প্রচার করত। জামিলও আশুলিয়ার মামলার পলাতক আসামি ছিল।

৩. মোঃ আতিকুর রহমান (২৮), নব্য জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য। সে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ছাত্র ছিল। তার দায়িত্বে ছিল নতুন সদস্য এবং অর্থ সংগ্রহ করা।

৪. মোঃ আবু সাঈদ, নব্য জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য। সে যুদ্ধ করার জন্য মধ্যপ্রাচ্য যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা নিজেদের নব্য জেএমবি’র দায়িত্বশীল পদধারী হিসেবে স্বীকার করেন এবং এখানে মিটিং করে পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করতে চাচ্ছিল বলে জানান।

উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক দিয়ে ৫০টির মতো উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বোমা বানানো সম্ভব ছিল।

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইনে পৃথক পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া করা হয়েছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন