জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করাই আমাদের লক্ষ্য। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলবো। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন, মাদক নির্মূল করর জন্য সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেশের মানুষের শান্তি চাই, নিরাপত্তা চাই। উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে চাই।

সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশের সকল ধর্মের মানুষ সমানভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে এবং তারা পালন করছে। সেটা আমরা নিশ্চিত করেছি। বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

‘আমাদের লক্ষ্য ছিলো ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হবে। আজকে সেটা আমরা অর্জন করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে আমরা গড়ে তুলবো। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করা, এটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পঞ্চশ বছর আমাদের স্বাধীনতার, আমরা কতদূর এগুতে পেরেছি সেটাই বড় কথা। দারিদ্র্যের হার আমরা ৪০ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আজকে প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎতের আলো আমরা পৌছে দিয়েছি। বাংলাদেশের প্রতিটি গৃহহারা মানুষ, ভূমিহীন মানুষ বিনাপয়সায় তাদেরকে আমরা ঘর দিচ্ছি এই লক্ষ্য ইনশাল্লাহ আমরা পূরণ করতে পারবো। যেটা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল। জাতির পিতা চেয়েছিলেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। আর আমাদের সেটাই লক্ষ্য।’

সরকার প্রধান বলেন, আজকের বাংলাদেশ আমাদের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। যদিও করোনা ভাইরাস আমাদের অনেকটা এগিয়ে যাওয়ার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু তার পরেও আমরা করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের অর্থনীতির চাকাকে আমরা সচল রেখেছি।

গ্রামীণ অর্থনীতিকে উন্নত করবার পদক্ষেপ সরকার নিয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সকল দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখছি। যেটা জাতির পিতা আমাদের পররাষ্ট্র নীতি দিয়েছিলেন “সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়”- আমরা সেই পররাষ্ট্র নীতি নিয়েই সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখেই আমাদের দেশের উন্নয়নের চাকাকে আমরা সচল রেখেছি।’

বক্তব্যে স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও পচাত্তর পরবর্তী পরিস্থিতির বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

করোনা মহামারিতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বিজয়ের উৎসব আমরা ব্যাপকভাবে উদযাপন করেছি। করোনার কারণে আগে আমরা করতে পারিনি। তবে এবারে আবার আমরা নতুন উদ্যমে আমরা আমাদের বিজয়ের এই উৎসব করেছি এবং এই উৎসব শুধু মাত্র উৎসব না এই উৎসব আমাদের আগামী দিনের চলার পথের প্রতিজ্ঞা যে বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে ইনশাল্লাহ আমরা গড়ে তুলবো সেই প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আরও বক্তব্য রাখেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন